দামুড়হুদা জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা রোজী মাদরাসায় উপস্থিত না হয়েই বেতন তোলেন

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জগন্নাথপুর বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষিকা রোজীর বিরুদ্ধে মাদরাসায় না এসেই সরকারি কোষাগার থেকে মাসিক বেতন তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসার কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে তিন হাজার টাকার বেতনে শাহিন নামের এক যুবককে দিয়ে ক্লাস নেয়াচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হলেও মাদরাসার কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে অভিভাবক মহলে।
জানা গেছে, দামুড়হুদার জগন্নাথপুর বালিলা দাখিল মাদরাসার শিক্ষিকা রোজী দীর্ঘদিন মাদরাসায় না এসেই সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করছেন। ওই শিক্ষিকার স্বামী মেহেরপুর পৌর কলেজের প্রভাষক হওয়ার কারণে তিনি বহুদিন যাবত মেহেরপুরে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে মাদরাসার সুপার ও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ভাড়াটিয়া এক যুবককে দিয়ে দীর্ঘদিন ক্লাস নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি মাদরাসার ছাত্রীরা তাদের অভিভাকদের জানালে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে নাটুদাহ এলাকায় গুঞ্জন চলছে। বিগত দুই বছর আগে এ শিক্ষিকা চিকিৎসার নাম করে মাদরাসার সুপারকে ম্যানেজ করে প্রায় এক বছর বিনা ছুটিতে মাদরাসায় আসেননি। কিন্তু ঠিকই সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এ দিকে শিক্ষিকা রোজী আক্তারকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামীর অসুস্থতার কারণে মাদরাসা সুপার স্যারের বলে স্থানীয় এক যুবককে দিয়ে মাসিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দিয়ে আমার ক্লাস নেয়া হয় এবং আমি মাসে দু’দিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আবার মেহেরপুরে চলে যাই। মাদরাসার সুপার ফোনে বলেন, শাহিন নামে এক ছেলেকে দিয়ে ক্লাস নেয়া হয়। তবে তাকে তিন হাজার টাকাই রোজী দেয়। তবে মাঝে মাঝে এসে হাজিরা দিয়ে যায়। বিষয়টি সভাপতি জানেন। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন স্যার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকার সুধীজন মনে করেন এ ধরনের শিক্ষক বা শিক্ষিকা শাস্তি হওয়ার দরকার। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করে বলেন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পদত্যাগ করা উচিত।