দামুড়হুদা ছাত্র ছাত্রীদের কাগজপত্র সত্যায়িত না করে দেয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করে দেননি বলে অভিযোগ করেছেন দামুড়হুদা গুলশানপাড়ার বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র রোহন, একই গ্রামের ঢাকা বোরহান উদ্দিন কলেজের শেষবর্ষের ছাত্র কলিম উদ্দিন, উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র কারিমুল, একই কলেজের ছাত্র রোকনুজ্জামান, মামুন, বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দামুড়হুদা আ. ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ফয়সাল, উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা আইইউটিএটি’র ছাত্র জসিম উদ্দিনসহ এলাকার বেশকিছু কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ বিশেষ প্রয়োজনে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মৎস্য অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘসময় ধরনা দিয়েও ছবিসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করে দেয়া হয়নি।

অভিযোগকারী ছাত্রছাত্রীরা আরো বলেছে, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান তিনি আমাদের কোনো কাগজপত্র সত্যায়িত করে না দিয়ে বলেন, আমি অফিসের জরুরি কাজে ব্যস্ত আছি। আমাকে বিরক্ত না করে অন্য অফিসে যাও। আমরা উনাকে একটু অনুরোধ করতেই ওনি আমাদের ওপর ক্ষেপে ওঠেন এবং পিয়ন ডেকে আমাদেরকে তার রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যায়। এ সময় দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম ওনার রুমে বসে ছিলেন। তাদের সামনেই ওনি আমাদের বললেন কাল থেকে তোমরা সত্যায়িত করতে এ উপজেলায় আসবে না। তোমরা চুয়াডাঙ্গা অথবা দর্শনায় চলে যাবা। তিনি একথা বলার পর বেশ কয়েকজন রাগে ক্ষোভে রুম থেকে বেরিয়ে চলে যায়। তিনি অবশ্য পরে ৩ জনকে সত্যায়িত করে দেন। এ ঘটনায় দপ্তর প্রধানদের প্রতি বিরূপ ধারণাসহ ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কি কারণে কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হচ্ছে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরির জন্য আবেদন করাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এ ঘটনায় এলাকার সচেতনমহল দপ্তর প্রধানদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে, আজ যারা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হয়েছে তারাও তো একদিন কারো না কারোর কাছে তাদের কাগজপত্র সত্যায়িত করেছিলো তা ভুলে গেলে চলবে না। এটা ওনাদের নৈতিক দায়িত্বও বটে।