দামুড়হুদায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ফসলী জমি বিনষ্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে পোল্ট্রি হ্যাচারি

 

উদ্বিগ্ন সচেতন মহল : জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ফসলী জমি বিনষ্ট করে গড়ে দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কে চিৎলা হাসপাতালের অদূরে রাস্তার দু ধারেই তোলা হচ্ছে পোল্ট্রি হ্যাচারিসহ ফিড কারখানা। নবনির্মিত ওই সমস্ত কারখানায় মাটি ভরাট করতে কেটে আনা হচ্ছে অন্য ফসলী জমির উপরিভাগ। জমির উপরিভাগ কেটে ফেলায় একদিকে যেমন ঊর্বরতা হারাচ্ছে আবাদি জমি। ওন্যদিকে পিচরোডে মাটি পড়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেছেন, রাফিদ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি বেশ কয়েক বছর আগে দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের মোক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে গড়ে তোলে পোল্ট্রি খামার। খামারটি বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে গড়ে তোলায় খামারের প্রচণ্ড দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ বিদ্যালয়টি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। ওই রাফিদ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি আবারও দামুড়হুদার-চিৎলা হাসপাতালের সন্নিকটে সড়কের দু ধারে গড়ে তুলছেন পোল্ট্রি হ্যাচারি এবং ফিড কারখানা। গতকাল সোমবার ওই নবনির্মিত করাখানায় মাটি ভরাট করার সময় পিচরোড কর্দমাক্ত হয়ে যানচলাচলে চরমভাবে বিঘ্নতার সৃষ্টি করে। এলাকার সচেতন মহল বলেছেন, কোনো পোল্ট্র খামার বা হ্যাচারি আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে করার বিধান থাকলেও মানা হচ্ছে না আইন। সংশিষ্ট প্রশাসনের অনুমিত ছাড়াই নিজের খেয়াল খুশি মত গড়ে তোলা হচ্ছে ওই সমস্ত কারখানা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান বলেছেন, আমার কাছে কোনো অনুমিত নেয়া হয়নি। বিধায় প্রশাসনের অনুমতির বিষয়ে আমি অবগত নই। এছাড়া সড়কে মাটি ফেলে যানচলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টির বিষয়টি জানতে পেরে আমি ওই প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধিকে ডেকে হুঁশিযারি করে দিয়েছি। সড়কে কোনোরূপ মাটি পড়ে দূর্ঘটনা ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই সমস্ত অনুমতিহিন কারখানা অবিলম্বে বন্ধসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।