দামুড়হুদায় ক্যাথলিক গীর্জায় ডাকাতির ঘটনায় আরও একজন আটক

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা খ্রিস্টানপল্লির রোমান ক্যাথলিক গীর্জায় ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রিফাজুল (৪০) নামের আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। সে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের মোক্তারপুর গ্রামের রহমানের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মোক্তারপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে মুখোশ পরিহিত ১৪/১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল কার্পাসডাঙ্গা খ্রিষ্ঠানপল্লীর রোমান ক্যাথলিক গীর্জার আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে এবং নৈশপ্রহরী ও সিস্টারদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এয়ারগান, মোবাইলফোন, সোনা ও রুপার গয়না, পোশাক, মূল্যবান মালামালসহ নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুট করে। সশস্ত্র ডাকাতদল গীর্জার নৈশপ্রহরী প্রাণতোষ মণ্ডলকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার পর সিস্টার লিমা গমেজকেও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এছাড়া ফাদার ও সিস্টারদের তিনটি কক্ষে ভাঙচুর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গীর্জার নৈশপ্রহরী প্রাণতোষ মণ্ডল বাদী হয়ে গত রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই রাতেই কার্পাসডাঙ্গার আবুল হোসেনকে আটক করে। পরদিন অর্থাৎ সোমবার রাতে ওই ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের মৃত উকিল হালসনার ছেলে হামিদুলকে আটক করে। ওই হামিদুলই ডাকাতির ঘটনার তথ্য ফাঁস করে দয়ে। ডাকাতি ঘটনায় কারা কারা ছিলো তাদের নাম ঠিকানাও প্রকাশ করে দেয় পুলিশের কাছে। হামিদুলের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ পরদিন দুপুরে হাতিভাঙ্গা গ্রামের মিরাজুল ওরফে মিরাকে আটক করে এবং থানা হাজতে নিয়ে ব্যাপক ব্যাপক জিজ্ঞাসাদের এক পর্যায়ে সে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাথলিক গীর্জায় ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার বাড়িতে শাটারগান আছে বলেও পুলিশকে জানায়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই মহিত সঙ্গীয় ফোর্সসহ মিরাজুলকে সাথে নিয়ে তার নিজ বাড়ি হাতিভাঙ্গা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তার বাড়ি থেকে একটি শাটারগান ও দু রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউল হক
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।