দামুড়হুদায় কোনোভাবেই দমানো যাচ্ছে না চাঁদাবাজচক্রের দৌরাত্ম্য

দর্শনা অফিস/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিভিন্ন পল্লিতে কোনোভাবেই চাঁদবাজচক্রকে ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিরাতেই চাঁদার দাবিতে ঘটছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। চাঁদা না পেলে মোবাইলফোনে দেয়া হয় খুন-গুম ও অপহরণের হুমকি। কেউ কেউ প্রাণের ভয়ে কিংবা ঝঞ্ঝাট এড়াতে গোপনেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করছে। আবার অনেকেই চাঁদাবাজদের চাঁদার টাকা দিতে করছে আপত্তি। এ কারণেই প্রায় ঘটছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। এ পর্যন্ত ওই চক্রের কোনো সদস্যকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। আবারো চাঁদার দাবিতে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কলোনিপাড়ার মতিয়ার রহমানের এমআরবি বিক্স ও সুবলপুর গ্রামে শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতরাত সোয়া ১১টার দিকে পরপর দুটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পরে কার্পাডাঙ্গা ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মতিয়ার রহমানের অভিযোগ, মোবাইলফোনে চাঁদাবাজরা বেশ কয়েকদিন ধরে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদার টাকা না দেয়ায় তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুবলপুরের মোস্তায়েদ আলীর ছেলে আব্দুস সামাদের কাছে বেশ কয়েকদিন ধরে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদাবাজরা। এ টাকা না দেয়ায় গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে গিয়ে সামাদকে খুঁজতে থাকে। সামাদকে না পেয়ে তারা বাড়িতে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে গতকাল রোববার সকালে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শিনবগর হালসনাপাড়ার আসলাম আলীর বাড়ির নির্মিতব্য ভবনে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় ঘরে দুটি শক্তিশালী বোমা দেখে গৃহকর্তাকে জানায় শ্রমিকরা। নাটুদাহ ফাঁড়ি পুলিশ আসলাম আলীর বাড়ি থেকে বোমা দুটি উদ্ধার করে। তবে আসলাম এ ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও প্রতিবেশীরা বলেছে, তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। একের পর এক চাঁদার দাবিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আবারো পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।