দামুড়হুদার হাউলী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি গ্রহণ : বদলির দাবি করেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিভাবকরা সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক মমতাজ খাতুনকে একজন বদরাগী, বদমেজাজি এবং অহঙ্কারি উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় অভিভাবকদের অভিযোগের শুনানি গ্রহণ করেছেন উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম, এসএম তাসকির আহমেদ এবং সেলিম রেজা এই ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শুনানি করেন। এ সময় উপস্থিত অভিভাবকসহ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক মমতাজ খাতুনকে অবিলম্বে বদলির জোর দাবি জানায়। তদন্ত কমিটি সকল শিক্ষকের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সকলেই বলেছেন, প্রধান শিক্ষকের পক্ষে হাতে গোনা কয়েকজন অভিভাবক ছাড়া সকল অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা তার বিপক্ষে। সর্বপরি ওই বিদ্যালয়ে যে ৪ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন তারা ৪ জনই তার বিপক্ষে। আমরা সরেজমিন এসে যা পেয়েছি সেটাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উপস্থিত উত্তেজিত অভিভাবকদের কয়েকজন বলেছেন, প্রধান শিক্ষক একজন বদরাগী মহিলা। সে এলাকার কোনো অভিভাবককে মানুষই মনে করেন না। একজন সহকারী শিক্ষক বলেছেন, প্রধান শিক্ষকসহ এই বিদ্যালয়ে মোট ৫ জন শিক্ষক আছে। এরমধ্যে ৪ জনের সাথেই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে ওনার সাথে মতবিরোধ রয়েছে। আমরা মনখুলে ওনার জন্য পাঠদান করতেও পারি না। খুটিনাটি বিষয় নিয়েও আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন। কেন করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই শিক্ষক বলেন, কেন করেন সেটা উনিই ভালো জানেন। তাছাড়া আমাদের সাথে রাগারাগি করে ওনার শিশু দুসন্তানকে অফিস রুমের মধ্যেই প্রচ- মারধর করেন। সেটা দেখতেও খারাপ লাগে।