দামুড়হুদার মুন্সিপুর ও ঠাকুরপুর সীমান্ত পথে ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট

বেপরোয়া দালালচক্র ॥ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর অর্থ
স্টাফ রিপোটার ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলাদেশ ও ভারত ছিলো একীভূত। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পূর্ব পাকিস্তান হিসেবেই তখন ছিলো বাংলাদেশের পরিচয়। ১৯৭১ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীকে হটিয়ে জন্ম হয় সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর অনেকেই চলে আসে এ দেশে। পাশাপাশি ভারতে থেকে যান স্বজনেরা। সে কারণেই ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারীর সংখ্যা বেড়েছে। দু দেশের মধ্যে পাসপোর্ট-ভিসার মাধ্যমে যাতায়াত করা হয়ে থাকে। বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায় ভারতে যাতায়াতকারীদের ধুড় বলা হয়। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া চোরাই পথে যারা ভারতে প্রবেশ করে থাকে, তাদের মধ্যে অনেককে জীবন দিতে হয়েছে বিএসএফ’র গুলিতে। কেউ কেউ দীর্ঘদিন কারভোগ করছে। নারীদের বিক্রি করা হচ্ছে ভারতীয় নিষিদ্ধ পল্লিতে। তবুও থেমে নেই ধুড় পাচার। এক শ্রেণির ধুড়পাচার চক্র দীর্ঘদিন ধরেই বেপরোয়া। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তে ধুড় পাচারকারীচক্রের সদস্যরা রয়েছে সক্রিয় অবস্থানে। এ চক্র ধুড় পাচার করে কামাচ্ছে প্রচুর অর্থ। দেশের অল্প আয়ের মানুষগুলোর মধ্যে অনেকেই ধুড়পাচারকারীচক্রের খপ্পরে পড়ে ভারতে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। তবুও বন্ধু হয়নি ধুড় পাচার। দামুড়হুদার ঠাকুরপুর, মুন্সিপুর ও পিরপুরকুল্লা সমাীন্ত পথে দীর্ঘদিন ধরে ধুড় পাচার করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বিনা পাসপোট-ভিসায় ভারতে পাচারের জন্য জনপ্রতি নেয়া হয়ে থাকে ৪ হাজার টাকা। দালালচক্রের সদস্যরা অনেকটাই জামাই আদরের মতো করেই ধুড়দের রাখে বাড়িতে। রাতের আধারে বা দিনের আলোয় সুযোগ-সুবিধা বুঝে ভারতের দালালদের হাতে তুলে দেয়া হয় ধুড়দের। নিয়মিত ধুর পাচার করে যারা প্রচুর অর্থ ধান্দা মেতে আছে, তারা হলো অভিযুক্ত ধুরপাচারকারি কাটি, মমিন, আরিফ, রাজ্জাক মেম্বার, জাহাঙ্গীর, ফকির, আবু আলী,  ভুট্ট, মালেক, উজ্জ্বল, ফারুক, হাকিম, শুকুর, ঝন্টু, মহাসিন, হাসান,  ওসমান , আব্দুল আলিম, আবদুল হাই, ইউনুস, হানন গুলজার, ছাব্দারসহ কমপক্ষে ২২-২৩ জনের চক্র। এভাবে ধুড় পাচারের কারণে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষের, অন্যদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সেই সাথে দেশের মর্যাদা ক্ষুণœœ হচ্ছে বহির্বিশ্বে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ধুড়পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল আমির মজিদের কাছে দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।