দামুড়হুদার ফুলবাড়ীতে অনৈতিক কাজের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষককে মারধর

 

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে আ.সামাদের বাড়িতে একই ইউনিয়নের ঠাকুরপুর কওমি মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ সফিউর রহমানকে গত সোমবার সাড়ে ৮টার দিকে উৎসুক জনতা আটক করে মারধর করে রাতেই পুলিশে দেয় । উৎসুক জনতার দাবি আ.সামাদের মেয়ে মাদরাসাছাত্রী সুমাইয়া খাতুন (২১) ও উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ৩ সন্তানের জনক কওমি মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সফিউর রহমানকে রাতে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে অনৈতিক কাজ করতে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্য্যাম্পে হাজির হয়ে মাদরাসাছাত্রী জানায় অভিযুক্ত সফিউর রহমান আমার ভালো বন্ধু। আমি তাকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ না থাকায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। পরে মাদরাসা ছাত্রী হাফেজ সফিউর রহমানকে মারধর করার কারণে গ্রামের ৩ জনের নামে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে অভিযুক্ত উৎসুক জনতা জানিয়েছে, ওই মাদরাসাছাত্রী প্রায়ই শফিউর রহমানের সাথে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে বেড়ায়। ঘটনার দিন হাফেজ সফিউর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে ফুলবাড়ী গ্রামে যান। রাতে খাওয়ার সময়  পরস্পরকে মুখে তুলে দেয়ার সময় উৎসুক জনতা তাদের দেখে ফেলে এবং তাদের মারধর করে। এ সময় হাফেজ সফিউর রহমানকে তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস শুভ প্রতিবেদককে জানান, মাদরাসাছাত্রীর কোনো অভিযোগ না থাকায় মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সফিউরকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ওই মাদরাসাছাত্রী শিক্ষকের মারধর করার অপরাধে ৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।