দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তুপুরে বিয়ের প্রলোভনে মাদরাসা ছাত্রীর দেহভোগ

 

 

কবিরাজি ওষুধ খাইয়ে ২ মাসের গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তুপুরে বিয়ের প্রলোভনে এক মাদরাসাছাত্রীকে দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে। দেহভোগের পর ওই মাদারাসাছাত্রী দু মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে গোপনে কবিরাজি ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। এ নিয়ে গ্রামে সালিস বৈঠক হয়েছে। বিয়ের শর্তে গর্ভপাত ঘটানো হলেও এখন সবকিছু অস্বীকার করছে অভিযুক্ত প্রতিবেশী কালুর ছেলে ইব্রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন। ফলে মেয়েকে নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র পিতা-মাতা। ন্যায় বিচারের আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।

জানা গেছে, দিনমজুরের মেয়ে স্থানীয় দাখিল মাদারাসায় পড়ালেখা করতো। ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার পর গরিব পিতা মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে ওই ছাত্রী তার চাচার বাড়িতে কাজকর্ম করে আসছিলো। সম্প্রতি সে আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিয়ের শর্তে তাকে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পিতার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।

অভিযুক্ত ইব্রাহিমের পিতা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে পিতা অভিযুক্ত ইব্রাহিমের নামে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তভার আসে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান গত ৮ জুন বেলা ১১টার দিকে উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ঘটনার সাক্ষী ওই গ্রামের তহির উদ্দিনের ছেলে লিয়াকত। তাকে হাউলীর মোড়ে মারধর করা হয়। পরে অভিযুক্ত ইব্রাহিম ও তার পিতা কালু এ ঘটনায় গ্রামে ফিরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটিকাটির কালু ও তার ছেলে ইব্রাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে ঢুকে লিয়াকতের স্ত্রী সাবিনা ও বৃদ্ধ শাশুড়ি লাইলী বেগমকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সকালেও সালিস বৈঠক বসে।