দামুড়হুদার পুরস্কারপ্রাপ্ত আরামডাঙ্গা কৃষি সমবায় সমিতি যায়যায় অবস্থা : শেষ সম্পত্তিও গ্রাস করতে চায় স্বার্থান্বেষী কেউ কেউ

 

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা: দামুড়হুদার আরামডাঙ্গা গ্রামের কৃষি সমবায় সমিতির শেষ সম্পত্তিটুকুও গ্রাস করার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশও অমান্য করছেন। অসহায় কৃষকরা এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্র জানায়, ১৯৭৬ সালে এলাকার কৃষকদের সুবিধার্থে আরামডাঙ্গায় গঠিত হয় কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির মাধ্যমে কৃষকদের নানা সুবিধা ও সেচ কাজের জন্য স্থাপন করা হয় ৬টি গভীর নলকূপ। দীর্ঘদিন ধরে এ সমিতি সুনামের সাথে চললেও বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে বিঘ্নিত হয় স্বাভাবিক কাযর্ক্রম। অভিযোগকারীরা জানান, একশ্রেণির স্বার্থান্বেষীব্যক্তি নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য উঠে পড়ে লাগে। ২০০৮ সালে  হাজি আনসার আলী সমিতিকে নিজের কব্জায় নেন। তিনি ম্যানেজার পদটি আঁকড়ে ধরেন। ফলে সমিতির স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। ৬টির মধ্যে ৫টি গভীর নলকূপই বিক্রি করে দেয়া হয়। একটি অবশিষ্ট থাকলেও তা রয়েছে অকেজো অবস্থায়। সমিতির নামে থাকা ২২ বিঘার মধ্যে ১২ বিঘা জমিই নিজ ইচ্ছায় বিক্রি করে দেন হাজি আনসার আলী।

অভিযোগকারীরা আরও জানান, কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন হাজি আনসার আলী। বাকি ১০ বিঘা জমিও তিনি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় সমিতির জমি বেদখল করে সেখানে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। সমিতির সম্পদ-সম্পত্তি বাঁচাতে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় সমবায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই জমি যাতে বিক্রি না হয়, সেজন্য পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাপট দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশও মানছেন না অভিযুক্ত আনসার আলী। ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবি প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশু এগিয়ে আসবে।

এদিকে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজার কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছি এবং মহামান্য রাষ্টপতির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছি। ২০০৮ সালে সমিতির স্বার্থান্বেষী কতিপয় ব্যক্তি জবরদখল করে নেয় সমিতিটি। তারা সমিতির সম্পদ বিক্রি শুরু করে। যা সমবায় আইন বহির্ভূত।