দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরে ওজনে কম দেয়ায় জরিমানা

 

দর্শনা অফিস: আ.লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পল্লী রেশন ডিলারদের মাধমে নির্ধারিত কার্ডধারীদের মাঝে ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ৫ মাসের জন্য এ কর্মসূচির সুফল পাবে। এজন্য নেয়া হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে হত-দরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। সরকার ডিলারদের কাছে সাড়ে ৮ টাকা কেজি দরে এ চাল বিক্রি করছে। একজন ডিলার কেজি প্রতি দেড়টাকা ছাড়াও বাড়তি আয় হবে বস্তাটি। দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন এলাকার তালিকাভুক্তদের মধ্যে চাল বিক্রি হচ্ছে ২ স্থানে। এদের মধ্যে রয়েছে পারকৃষ্ণপুর নাহিদ স্টোর। সারাদেশে গত পরশু শুক্রবার এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। নাহিদ স্টোরের বিরুদ্ধে ৩০ কেজি চালে ৩/৪ কেজি পরিমানে কম দেয়ার অভিযোগ উঠলে স্থানীয়রা তা যাচাই করে সত্যতা পায়। ফলে ফুসে ওঠে বাজারের ব্যবসায়ী ও চাল ক্রেতারা। এক পর্যায়ে বিক্ষুপ্ত জনতার হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় নাহিদ স্টোরের কর্মচারী রেজাউল হকসহ ২ জন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান দামুড়হুদা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আব্দুল হালিম ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাহিদ স্টোরের সত্বাধীকারিকে ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আব্দুল হালিম বলেছেন, চাল ওজনে কম পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকজনের অভিযোগ ছিলো তাদের ওজনে কম দেয়া চাল পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছে নাহিদ স্টোরের মালিককে। পরিমল হালদার, বিষ্ণু হালদার, ঝড়ু হালদার, আব্দুস সাত্তার, রহিম, হাবলু, রুপালী, কলম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ করলেও নাহিদ স্টোরের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।।