দামুড়হুদার ধান্যঘরায় শিশু শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পেটালেন শিক্ষক

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুলের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী এক ছাত্রীকে বেত পিটিয়ে আহত করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত নুসরাত জাহান রোশনীকে শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সে ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি ফরিদ আহম্মদ রানা শাহার মেয়ে। শিক্ষার্থী রোশনি জানায়, বিনা দোষে প্রধান শিক্ষক মারধর করেন আমাকে। এদিকে আহত শিক্ষার্থীর বাবা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি ফরিদ আহম্মদ রানা শাহা সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়েকে মারধরের খবর পেয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে গিয়ে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিই এবং প্রধান শিক্ষককে কেন মারা হলো জিজ্ঞাসা করলে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন আমি সঙ্গে সঙ্গে দামুড়হুদা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি তিনি আমাকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন আমি তাকে কোনো বেত দিয়ে আঘাত করিনি আমি শুধু একটি থাপ্পড় মেরেছি পিঠে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ইমদাদুল মালিতা জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি । অন্যমনস্ক হয়ে পড়ায় একটু মারধর করেছেন যার চিহ্ন আমিও দেখেছি। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম জানান বিষয়টি আহত শিক্ষর্থীর বাবা আমাকে ও আমার সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ফোনে জানিয়েছেন। আমি আজ রোববার আমার দুজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সেলিম রেজা ও নাসির উদ্দীন বিদ্যালয়ে গিয়ে সরোজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সুধী মহলের অভিযোগ দীর্ঘদিন ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান দিন দিন ভেঙে পড়ছে। দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক মহল। শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম প্রতিনিয়ত স্কুলে দেরিতে আসেন। দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি প্রায়ই বলে থাকেন আমার কাজ ছিলো। এদিকে কিছু সচেতন ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন শিক্ষক জাহিদুলের কোচিং বাণিজ্য চরমে উঠে গেছে। কোচিংয়ের কারণেই তিনি বিদ্যালয়ে দেরিতে আসেন।