দামুড়হুদার জয়রামপুর কাঁঠালতলার শতাধিক পরিবার রাস্তার অভাবে গৃহবন্দী

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠালতলা বাজারপাড়া নামক স্থানে শতাধিক হিন্দু-মুসলমান দরিদ্র শ্রেণির পরিবারগুলো রাস্তার অভাবে এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা প্রতিকারের জন্য ভূক্তভোগী পরিবারগুলো প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গতকাল শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা বাজারপাড়া নামক স্থানে রয়েছে শতাধিক হিন্দু-মুসলমান দারিদ্র শ্রেণির খেটে খাওয়া পরিবারের ঘর বাড়ি। এসব পরিবারের স্কুলগামী শিশুদেরসহ নিজেদের চলাচলের তেমন কোনো রাস্তা নেই। এ বাড়ি সে বাড়ির ওপর দিয়ে বা কারো জমির আইল দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। রাস্তা করার জন্য এসব পরিবারের লোকজন স্থানীয় হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমানের কাছে ধরণা দিয়েও কোনো সুফল পাইনি। রাস্তা করার মতো জমি যাদের আছে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এসব দরিদ্র শতাধিক পরিবারের কোনো আকুতিই তাদের পাষাণ মনকে গলাতে পারছে না। দরিদ্র পরিবারগুলো নিজেরা টাকা তুলে রাস্তার জমির মূল্যও দিতে চায়। কিন্তু প্রভাবশালী জমির মালিকরা কোনো জমি বিক্রি করবে না বলে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই দরিদ্র হিন্দু-মুসলিম পরিবারগুলোর চলাচলের রাস্তা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেক চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে দরিদ্র দিনমজুর হিন্দু-মুসলিম পরিবারগুলো তাদের চলাচলের রাস্তার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ও মাননীয় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহাম্মদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা রাস্তার অভাবে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। কাঁঠালতলা বাজারপাড়ার গৃহবন্দী শতাধিক পরিবারের বেশির ভাগই হিন্দু পরিবার।
এই মহল্লার হিন্দু পরিবারের ভ্যানচালক মদন কুমার দাস জানান, আমরা শতাধিক পরিবার এই মহল্লায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছি। এখানে বসবাসকারী আমরা প্রায় সকলেই দিনমজুর। আমাদের অনেকেরই ছেলে-মেয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। রাস্তার অভাবে আমরাসহ আমাদের স্কুলগামী শিশু সস্তানরা চরম বিপাকে পড়েছি। তিনি আরও জানান, মহল্লার সকলে সম্মিলিত হয়ে জমির মালিক জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে রাস্তার জন্য এক শতক জমি ক্রয়ের জন্য গেলে তিনি কোনোমতেই আমাদের কাছে জমি বিক্রি করতে রাজি হননি। আমরা কোনো সুফল না পেয়ে আমাদের সমস্যার কথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান ও হাউলি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টুকে জানায় কিন্তু তাতেও কোন সুফল পাইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান জানান, আমি তাদের সমস্যাটি জানি এবং সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু জমির মালিকরা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়াই রাস্তা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।