দামুড়হুদার কুড়–লগাছির বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের ইন্তেকাল : রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছির বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ফকির ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে………রাজেউন)। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। গতকাল বিকেলে নামাজে জানাজা শেষে বেদনাবিধুর পরিবেশে চণ্ডিপুর কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মহল গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এএসএম জাকারিয়া আলম, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ এমামুল করিম ইনু ও আবু সিদ্দিক।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের চণ্ডিপুর (মাঝপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন লিভার ও কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তার পরিবার হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতকালে নিজ বাড়িতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর বাড়ির সামনের আঙ্গিনায় তার লাশ নেয়া হয়। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান, দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লা, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক জেলা প্রশাসক, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ই¯্রাফিল হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আসাদুজামান আসাদ ও এসআই আব্দুল গফুর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, নুর হাকিম, মশিউর রহমান, সাইদুর রহমান, এরশাদ আলী, ফজলুল হক, আলী রহমান, ইস্রাফিল হোসেন, নজির আহম্মদ, রহমান মাস্টার, আলাউদ্দীন ও আনিসসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন থেকে একদল চৌকস পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চ-িপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোঃ লিঃ দীর্ঘদিন দারোয়ান হিসেবে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারিতে অবসর গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।