তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য গাংনীর নুরুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের প্রাক্তন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য আওয়ামী লীগের এক সময়ের জনপ্রিয় নেতা নুরুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মরহুমের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে মরহুমের গ্রামের বাড়ি মহাম্মদপুরে আলোচনাসভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়ছে। প্রয়াত এই নেতাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে স্মরণ করে আসছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও দলীয় সাংগঠনিক কাজে এখনো নুরুল হকের আদর্শ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন অনেকেই। গতকাল তার বাড়িতে মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মরহুমের কন্যা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আখতার বানু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মরহুমের ভাতিজা মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে মরহুমের স্মৃতিচারণ করেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপিত সাহিদুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শফিকুল আলম, গাংনী পৌর মেয়র আশারাফুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র নবির উদ্দীন, উপজেলা আ.লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ মোহন, বামন্দী ইউপি আ.লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সাহারবাটি ইউপি আ.লীগ সভাপতি আকরাম খান, মটমুড়া ইউপি আ.লীগ সভাপতি আবুল হাসেন, ধানখোলা ইউপি আ.লীগ সভাপতি আলী আজগার ও কাজিপুর ইউপি আ.লীগ সভাপতি আবু নাতেক। আলোচনা শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।

১৯৭০ সালে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত নুরুল হক। ১৯৭৩ সালের কাউন্সিলে তিনি গাংনী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনীতির শুরুতেই তিনি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ আসনে আ.লীগের এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হন নুরুল হক।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে মহাম্মদপুর হাজি ভরস উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে অবসরে গেলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তাকে রেকটর হিসেবে আরও তিন বছর ধরে রেখেছিলেন। ১৯৯৮ সালের ২৭ আগস্ট তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃতুকালে তার বয়স হয়েছিলো প্রায় নব্বইয়ের কাছাকাছি।