তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়ুলগাছিতে সংঘর্ষ : আহত ৯

 

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংষর্ঘের ঘটনা ঘটেছে। কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের কুড়ুলগাছি বাজারপাড়ার রফিকুলের ছেলে শফি দীর্ঘদিন কুড়ুলগাছি বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করে আসছে। শফি ক্লোথ স্টোরের পাশাপাশি আলামিন ক্লোথ স্টোরের কাপড়ের ব্যবসা করে আসছে। দোকানের লুঙ্গি বিক্রিকে কেন্দ্র করে শফি ক্লাথ স্টোরের মালিক শফিকুল ইসলাম ও আলামিন ক্লাথ স্টোরের মালিক আলামিন হোসেনেরে মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে উভয় পরিবারে মধ্যে মারামারি হয় এবং ৯ জন গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে আলামিন ও তার পরিবারের খবর দিলে বাড়ির লোকজনসহ লালু, মিলন, রাজিব, মানিক সাহেব এবং হোসেনসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছুটে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংষর্ঘে ৯ জন আহত হন।

গ্রামবাসী জানায়, গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে প্রথম পর্যয়ে এ ঘটনা ঘটে। কুড়ুলগাছি বাজারে দুই কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে এক ক্রেতা একটি লুঙ্গি কেনার জন্য প্রথমে শফি ক্লোথ স্টোরে যায় বেশি দাম বলায় ওই ক্রেতা পাশের আলামিন ক্লোথ কাপড়ের দোকানে গিয়ে লুঙ্গি কেনেন। কিন্তু পূর্বশত্রুতার জের ধরে আলিমন শফি ক্লোথ স্টোরের মালিক শফিকে গালাগালি করতে থাকে এবং পরবর্তীতে এরই জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আবার গালাগালি করতে থাকে। শফিকুলের পরিবার গালাগালি দিতে নিষেধ করলে ফরজ আলীর ছেলে লালু, মিলন, কেসমতের ছেলে মানিক, লালুর ছেলে সাহেব এবং মমিনের ছেলে হোসেনসহ   শফি ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায় এবং বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে রফিকুলের ছেলে কাপড়ব্যবসায়ী  শফিকুল (২৭), সুজন (২২), সজল (১৭) এবং রফিকুলের স্ত্রী সাফিয়া (৪৭) আহত হন। আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে আলামিনের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, সকাল ১১টার দিকের ঘটনা গ্রামের কিছু লোকজন তা মীমাংসা করে দিয়েছে। হঠাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শফিকুলের পরিবারের লোক শফিকুলের বাবা রফিকুল এবং তার তিন ছেলেসহ আমার পরিবারের ওপর আচমকা হামলা চালায় এতে ৪ জন আহত হন। নজরুলের ছেলে মোশারোফ (৩২), ফরজ আলীর ছেলে লালু (৪৫), লালুর ছেলে সাহেব (১৭) এবং হোসেনের ছেলে শাকিল (২০)। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শফিকুল ও সাহেবের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান উভয় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পূলিশ ফাঁড়ির এসআই সুব্রত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।