তিতুদহের বলদিয়ায় তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি : ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ধর্ষণ ও হত্যা অপচেষ্টায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা

 

 

স্টাফরিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের বলদিয়া গ্রামের ভিটেখোলা মাঠে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে ধর্ষণের অপচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সোরাফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা ও এলাকাসূত্রে জানাগেছে, গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের এরেঙ মণ্ডলের ছেলে সোরাফ হোসেন ওরফে ফুরুজান (৪৫) একই গ্রামের আজিরবক্সের ছেলে মমিনের পানবরজে কাজ করছিলেন। এসময় বরজের নিকটবর্তী মাঠে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আকবার চতুরের জমিতে বরবটি তুলছিলো আব্দুল মজিদের মেয়ে রেক্সোনা। বরজের মধ্যে থেকে গানের কণ্ঠ ভেসে আসতেই রেক্সোনা কে গান গাচ্ছে বলে জানতে চায়। এনিয়ে বরজমালিক মোমিন, ফুরুজান এবং রেক্সোনার মধ্যে তর্কবিতর্ক ও মৃদু মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে ফুরুজান রেক্সোনাকে হত্যা করতে গিয়েছিলো বলে অপপ্রচার চালানো হয়। এরই জের ধরে ফুরুজানকে মজিদের লোকজন খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে হিজলগাড়ি বাজারে ফুরুজানকে পেয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যাত্ত হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হিজলগাড়ি ক্যাম্পপুলিশের সদস্যরা ফুরুজানকে ক্যাম্পের মধ্যে নিয়ে যায়। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে রেক্সোনা বাদী হয়ে ফুরজান এবং মোমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অপচেষ্টার মামলা করলে পুলিশ সেই মামলায় ফুরজানকে গ্রেফতার দেখায়। ঘটনাস্থল ভিটে খোলার মাঠে হলেও মামলায় স্থান দেখানো হয় বাদীর বাড়িতে।

উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল ২০১১ সালে রেক্সোনার পিতা আ.মজিদ হত্যামামলার প্রধান আসামি ফুরুজান। বর্তমানে ফুরুজান ওই মামলায় জামিনে আছে। এদিকে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ধরনের মামলা হওয়ায় এলাকাজুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এবিষয়ে ওসি তদন্ত কামরুজ্জামান জানান, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।