তালাকপ্রাপ্ত কিশোরি বউকে স্কুলগেট থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টাকালে গাংনীর চৌগাছার স্বামীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ

হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: তালাকপ্রাপ্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক বউকে স্কুলের গেট থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টাকালে গাংনী উপজেলার চৌগাছার স্বামীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে হাটবোয়ালিয়ার ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়ার গুচ্ছগ্রামের দরিদ্র কাজল আলীর মেয়ে সুমাইয়া আকতার কাকলী ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। গত এক বছর আগে যখন ৯ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার বিয়ে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের সালামত আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামের (২৫) সাথে। কয়েক মাস আগে কাকলী স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি বেড়াতে আসে। এরই মধ্যে সুমাইয় স্বামী তরিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত, কাজ-কর্ম করে না এমন অভিযোগ তুলে তাকে তালাক দেয়। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তরিকুল ইসলাম মদ্যপ অবস্থায় একটি মাইক্রো ভাড়া করে (ঢাকা মেট্রো চ- ৫১-৩০৫২) আরও দুজন নারীকে সাথে নিয়ে তালাকপ্রাপ্ত বউকে জোরপূর্বক তুলে নিতে হাটবোয়ালিয়া বাজারে যায়। সে সময় তালাকপ্রাপ্ত সুমাইয়া হাটবোয়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছিলো। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় থেকে কাকলী বের হলে বিদ্যালয় গেটে মাইক্রো ভিড়িয়ে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিতে অপচেষ্টা চালায় তরিকুল। কাকলীর চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে যান। তরিকুল ইসলাম, মাইক্রো ড্রাইভার গাংনী উপজেলার নিত্যানন্দপুরের পরশ ম-লের ছেলে শিপনসহ তরিকুলের গ্রাম সম্পর্কের ভাবি একই গ্রামের নাহারুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা খাতুন ও বোন একই গ্রামের খোকন আলীর স্ত্রী জরিনা খাতুনকে আটক করে। পরে তাদেরকে উত্তমমধ্যম দিয়ে ফাঁড়ি পুলিশের সোপর্দ করে ব্যবসায়ীরা।