ডিলাক্সে ডাকাতি মামলার আটক কান্তপুরের ফিরোজের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সে ডাকাতি মামলার আটক ৩ সন্দেহভাজনের মধ্যে ফিরোজ নামের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জানা গেছে, আটক ৩ জনের মধ্যে কান্তপুরের মৃত আলতাফ আলীর ছেলে ফিরোজ আলী (২৬) ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার এক বন্ধু বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কান্তপুর ব্রিজমোড়ে নিয়ে যায়। তারপর দুজন খুদিয়াখালী আমবাগানে যাই। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষা করছিলো দুজন পরিচিতসহ আরও ৩/৪ জন অপরিচিত ব্যক্তি। ৭/৮ জন মিলে সারারাত আমবাগানে আড্ডা দেয়। ভোরে চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের একটি নিমগাছ কেটে তারা রাস্তায় ফেলে গাড়ি চলাচলে ব্যারিকেট সৃষ্টি করে। ভোর ৫টার পর ঢাকাগামী একটি বাস থামিয়ে বাসে উঠে পড়ে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের নিকট থেকে নগদ টাকা, ব্যাগ ও সোনার গয়না ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস শেষ বর্ষের ছাত্র ফিরোজ নিজেকে কৌশলে বাঁচিয়ে উল্লেখ করেছেন, ডাকাতির সময় তাকে আমবাগানে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। ডাকাতি শেষে কাল দেখা হবে বলে সকলে চলে যায়। কিন্তু পরে তারা আর ফিরোজের সাথে দেখা করেনি।
গত ৬ জানুয়ারি ভোরে খুদিয়াখালী ব্রিজের নিকটবর্তী স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে ওই ডাকাতি করা হয়। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গত ৮ জানুয়ারি দিনগত রাতে উপজেলার খুদিয়াখালী গ্রামের মৃত আরজেত আলীর ছেলে হারুন (৩০) ও কান্তপুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে ফিরোজ আলীকে (২৬) আটক করে। গত ৯ জানুয়ারি মাঝহাটের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সে ডাকাতি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আটক করা হয়। আটক সন্দেহভাজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত রোববার সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করা হয়।
৬৪ ধারায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদানকারী ইতিহাস বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ফিরোজ। ডাকাতির সাথে জড়িত আরেক যুবক এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্যরাও শিক্ষিত ও অল্প বয়সী। পুলিশের ধারণা নেশার টাকা যোগাতে এমন অপরাধে জড়িয়েছে তারা।