ঠিকাদারের সেই বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক

 

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য সরকারি বৈদ্যুতিক মিটার থেকে দেয়া পার্শ্বসংযোগ অবশেষে বিচ্ছিন্ন করলেন উপপরিচালক। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সংযোগটি বিছিন্ন করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের ওই বৈদ্যুতিক মিটারের সমুদয় বিল পরিশোধ সাপেক্ষে বিদ্যুত ব্যবহার করছিলেন ঠিকাদার। কিন্তু উপপরিচালক চৈতন্য কুমার দাস প্রতি মাসেই বৈদ্যুতিক বিল উত্তোলন করে পকেটস্থ করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে সোমবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘যেভাবে চলছে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে উপপরিচালক সরকারি অর্থ লোপাটের ঘটনা থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা দিয়েও আর সরকারি বিদ্যুত ব্যবহার করা যাবে না। নিজস্ব ব্যবস্থায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে তাদের অনুরোধ করেছেন উপপরিচালক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সুপারভাইজার জানান, ওই বৈদ্যুতিক মিটারের সমুদয় বিল তারা পরিশোধ করতেন। এরমধ্যে অফিসের কাজে ব্যবহার হলেও উপপরিচালক তাদের কোনো অর্থ দেননি।

উপপরিচালকের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অসদাচরণের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি তার অধীনস্থ কয়েকজনকে দায়ী করেন। তাদের শায়েস্তা করতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন। গতকাল দু কর্মকর্তার অফিসিয়াল টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন উপপরিচালক চৈতন্য কুমার দাস। এখন কর্মচারীদের মাধ্যমে ওই দু কর্মকর্তা টেলিফোনের সংযোগ (পার্শ্ব সংযোগ) পাবেন। তারা কার সাথে কী কথা বলছেন তা মনিটরিং করার জন্য এই নিন্দনীয় কাজটি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার দপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী-কর্মকর্তা।

এদিকে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন নিয়ে ইতোমধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার খামারবাড়িসহ ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন কার্যালয়ে। দ্রুততম সময়ে অভিযুক্ত উপপরিচালক চৈতন্য কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে খামারবাড়ি কার্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি জানতে চেয়ে উপপরিচালকের মোবাইলে রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।