ট্যুরিজম ফেলোশিপ পেলেন মেহেরপুরের সন্তান সাংবাদিক মাসুদ রুমী

 

মেহেরপুর অফিস: পর্যটন বিষয়ক সাংবাদিকতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) ফোলোশিপ পেলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মেহেরপুরের সন্তান মাসুদ রুমী। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশকের ক্যারিয়ারে তিনি এর আগে সংবাদপত্রে বাণিজ্য সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড কংগ্রেসের ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। গত শনিবার রাজধানীর হোটেল অবকাশে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের কাছ থেকে ফেলোশিপ গ্রহণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, বিটিবির সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম, এটিজেএফবি’র সভাপতি নাদিরা কিরন বক্তব্য রাখেন।

পর্যটন বিষয়ক রিপোটিঙের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ৫ জন, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার ৫ জনসহ ১০ সাংবাদিককে ফেলোশিপ দেয়া হয়। ফেলোশিপপ্রাপ্ত কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মাসুদ রুমীসহ প্রত্যেককে ৬০ হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। মাসুদ রুমী মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ছাবদার আলীর বড় ছেলে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স) এবং এমএসএস ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সাপ্তাহিক ২০০০, আমাদের সময়, আজকের কাগজ, দৈনিক যায়যায়দিন, বিটিভিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টে তদন্ত সেলে ৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাসুদ রুমী বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির (২০১৫-১৭) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর কার্যনির্বাহী সদস্য (২০১৫-১৭) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের সংগঠন সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, গ্লোবাল ইন্টারনেট সোসাইটির লাইফ মেম্বার।

২০১৬ সালের পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ সফরে উৎসাহিত করতে ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পর্যটন শিল্পের সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি মিডিয়াকে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরতে হবে। এতে আমরা দেশে-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবো।

রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ২০১৬ সালের পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে ১০ লাখ পর্যটক আনা কঠিন হবে না। প্রধান পর্যটন এলাকাগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ জোরদার হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের ভিসা ব্যবস্থা সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ হয়ে দোহাজারি থেকে গুনদুম পর্যন্ত রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চার লেন সড়ক, চট্টগ্রাম কক্সবাজার টেকনাফ দু লেন বিশিষ্ট ম্যারিন ড্রাইভওয়ে নির্মাণ এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপান্তর, কুয়াকাটায় ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।