ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের মহিলা হোস্টেল কর্মচারীর চেক জালিয়াতি : ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে টাকা উত্তোলনকারীকে শনাক্ত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ইউসিবি ব্যাংক ঝিনাইদহ থেকে সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের মহিলা হোস্টেলের কর্মচারী বুলবুলির টাকা জালিয়াতি করে উত্তোলন করেছেন একই কলেজের অফিস সহায়ক তহমিনা আক্তার ময়না। ১০৪৪২৮১, নাম্বার চেক জালিয়াতি করে ১৪ হাজার টাকা হতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

বুলবুলির লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কলেজের মহিলা হোস্টেলের অফিস সহায়ক তহমিনা আক্তার ২৫ জুলাই তার চেক চুরি করে তারস্বাক্ষর এবং আরেক সহকারী শামীমা আক্তার লতার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ইউসিবি ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার থেকে ১৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি অভিযোগে আরও বলেন, শামীমা আক্তার লতাকে ফাসানোর জন্যই তহমিনা আক্তার ময়না আমার চেকের অপর পেজে তার স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন।

ইউসিবি ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার আব্দুল কাদের বলেন, ২৫ জুলাই ভেলা ২টায় তহমিনা দুইটা চেক নিয়ে আসেন। একটা তার নিজ নামে এবং অপরটি বুলবুলির নামের চেক। কিন্তু অপর পেজে শামীমা আক্তারের নাম লেখা স্বাক্ষর। পরে দুইটা চেক থেকেই টাকা উত্তোলন করেন। পরের দিন বুলবুলি তার চেক নিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসে চেক জমা দেন। ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে বলেন এই চেকে ২৫ জুলাই টাকা উত্তোলন হয়েছে। একথা শুনে তিনি দিশেহারা হয়ে আমার কাছে ছুটে আসেন। তখন আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে টাকা উত্তোলনকারীকে শনাক্ত করি। টেলিফোনে তহমিনাকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তহমিনার ভাই সোহাগকে ব্যাংকে ডাকলে তারা দুজনই ব্যাংকে আসেন। অতপর মেনেজারের কাছে ঘটনা স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন। এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাক্তার অমলেন্দু ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা আমলে নিয়েছি। যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।