ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের বর্ধিতসভায় বিএনপি নেতা মসিউর

 

 

বিএনপির জনপ্রিয়তায় সরকার আতঙ্কিত

ঝিনাইদহ অফিস: বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি মসিউর রহমান বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শেখ মুজিব স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ না নিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে ছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা মসিউর বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা তার পিতা ছাড়া দেশের আর কাউকে মানেন না। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানের পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের একটি ভাস্কর্য নির্মাণে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় এ সরকার। মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্মিত ওই ভাস্কর্যে আত্মসমর্পণের সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ সেসময় তিনি এদেশেই ছিলেন না।

ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রওশন বিন কদর মিরণের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, আহসান হাবিব রনক, মীর ফজলে ইলাহী শিমুল ও মিজানুর রহমান সুজন। সভায় জেলার ৬ উপজেলা পৌর যুবদলেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মসিউর রহমান আরও বলেন, বিএনপির জনপ্রিয়তায় সরকার আতঙ্কিত। তাই বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরের মধ্যে কর্মসূচি পালনেও বাধা দিচ্ছে সরকার। নারায়ণগঞ্জ, ফেনীসহ সারাদেশে খুন-গুমের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রামে গ্রামে শামীম ওসমান ও জয়নাল হাজারীর মতো গডফাদার তৈরি করে মানুষ খুন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করছে। ঘরে বসে না থেকে সরকার পতন আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক অংশ নেয়া আহ্বান জানান তিনি। মসিউর রহমান প্রশ্ন তুলে বলেন, যে দেশে সুপ্রিম কোর্টে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ আইনজীবীদের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে সেই দেশে কতোটুকু আইনের শাসন আছে।