ঝিনাইদহ কোর্ট হাজতখানায় অপ্রীতিকর ঘটনা কার কথা ঠিক?

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় সোমবার তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। এক হাজতির হাতে লাঞ্ছিত হন কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী। এ নিয়ে পুলিশ ও বিচারাঙ্গনে হইচই পড়ে যায়। ঘটনা শুনে ছুটে যান ৱ্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সাংবাদিক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টরাও ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তবে এ নিয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপের কথা শোনা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে রাসেল নামে এক হাজতির সাথে সাক্ষাত ও খাবার দিতে যান স্বজনরা। এ সময় খাবার দিতে বেশি টাকা চাওয়া হয়। এ নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের সাথে বচসা হয় রাসেলের বন্ধু জাকিরসহ অন্যদের। তাদের অভিযোগ খাবার দিতে ৪০০ টাকা দাবি করা হয়। হইচই শুনে কোর্ট হাজতখানার সামনে ছুটে যান কোর্ট ইন্সপেক্টর আবব্দুল বারী। সেখানে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। ছিড়ে যায় সার্টের বোতাম। মুহূর্তের মধ্যে খবরটি চাউর হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ৱ্যাব ও পুলিশ উপস্থিত হয়। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের জানান, সেখানে তেমন কিছুই ঘটেনি। বিষয়টি একেবারেই তুচ্ছ ছিলো। কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী জানান, দলবেধে লোকজন দেখা করতে আসছিলো। আমরা বাধা দেয়ায় আমাদের সাথে রাসেলের স্বজনরা তর্কবিতর্ক করে। এর চেয়ে বেশি কিছু ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।

কোর্টহাজতে আসামিদের সাথে সাক্ষাত ও খাবার দেয়া বৈধ কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমরা খাবার দিতে দিই। আর সাক্ষাতের বিষয়টি তো বহু পুরানো। খাবার ও দেখা করতে টাকা দিতে হয় কি-না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, সাক্ষাতে আসুন। তখন বিস্তারিত বলা যাবে। মোবাইলে এতো কথা বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ কোর্ট হাজতখানায় আসামিদের সাথে দেখা করতে ও খাবার দিতে টাকা নেয়া হয় এমন কথা শোনা যায়। সোমবারও এই টাকা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। কিন্তু বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কোর্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নানা রকম তথ্য দেয়া হয়। প্রত্যাক্ষদর্শী ও কোর্ট পুলিশের বর্ণনায় ব্যাপক গরমিল পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া এ ঘটনা নিয়ে কোর্ট পুলিশ, আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র ও জেলা পুলিশের বক্তব্যও একেক করম। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কার কথা ঠিক?