ঝিনাইদহে শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতির নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাস মালিক সমিতির নেতা মেহেদী হাসান বিল্লাল ও শ্রমিক নেতা আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাস প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন রুট থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা তুলছেন। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রমিক নেতারা। ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত লেন বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, সংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, সহসভাপতি রেজাউল করিম তুহিন, আতিয়ার রহমান, সাইদুল ইসলাম সাইদ, ওলিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান, বাহাদুল্লাহ কালু প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাস কার্যনির্বাহী কমিটিকে বাদ দিয়ে বহিরাগত মাস্তান দিয়ে গত প্রায় ৮/৯ মাস বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি, মাস্তানি ও শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। বিষয়টি বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে অবহিত করার পর এক যৌথ সভায় সংগঠনের ২৮ লাখ টাকা তহবিলে জমা দেয়ার জন্য আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাসকে বলা হলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। তিনি যৌথ সভার সাথে একমত পোষণ করার পরও আদায়কারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নিচ্ছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয় বাস-মালিক সমিতির যুগ্মসম্পাদক মেহেদী হাসান বিল্লালের যোগসাজসে মাস্তান দিয়ে আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাস জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন হামদহ বাইপাস সড়ক থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের নামে আলমসাধু, নসিমন, করিমন থেকে ৮ হাজার টাকা, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ হাজার, গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ হাজার টাকা, হাটগোপালপুর থেকে ২ হাজার, শৈলকুপা থেকে ২ হাজার, লাঙলবাঁধ থেকে ১ হাজার, বাস টার্মিনাল থেকে ২ হাজার, ডাকবাংলা থেকে দেড় হাজার টাকা চাঁদা তুলছেন মেহেদী হাসান বিল্লাল ও আব্দুল গফফার। বিষয়টি জানাজানির পর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু তাদেরকে সতর্ক করেছেন। শ্রমিক নেতারা ঝিনাইদহ বাসমালিক সমিতি থেকে মেহেদী হাসান বিল্লালকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এছাড়া আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।