ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নাটিমা গ্রামের এক গৃহবধূকে বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে ঢাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা জানতে গৃহবধূকে গতকাল বুধবার ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ ঘটনাটি সত্য কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান। পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে নাটিমা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা (৩৩) ওই গৃহবধূকে ঢাকার মিরপুর-১ এর একটি বাসায় নিয়ে যায়।
যাওয়ার সময় তরুনীকে বলা হয় পাসপোর্ট ও ডাক্তারী পরীক্ষা বাবদ ৩৫ হাজার টাকা সাথে নিতে হবে। চলতি বছরের ২৪ মে গৃহবধূকে নিয়ে খোকন মোল্লা ঢাকায় যায়। ঢাকায় যওয়ার পর থেকেই মিরপুর-১ এলাকার ওই বাসায় আটকে রেখে ৯ দিন ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে খোকন মোল্লা। এ সময় কৌশলে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে খোকন। গত ৩ জুন ওই গৃহবধূকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর খোকন মোল্লা ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে মহেশপুরে তোলপাড় শুরু হয়। নিরুপায় হয়ে ওই গৃহবধূ গত ২৫ জুলাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, মিডিয়া কর্মীদের মাধ্যেমে খবর পেয়ে আমরা ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন এ বিষয়ে পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে।