ঝিনাইদহে বিচারক বদলির দাবিতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামানের বদলি না হওয়া পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে যাবেন আইনজীবীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় গত ৯ এপ্রিল নির্বাহী পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়ে আদালত বর্জনের চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমিতির নিবার্হী পরিষদের নেয়া সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহেশপুর জিআর ৯০-১৭ মামলার আসামি জসিম উদ্দীনের রিমান্ড শুনানীকালে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রে পূর্ণ শুনানী গ্রহণ না করেই তাকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন। এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড খান আক্তারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব আদেশ স্থগিতের আর্জি জানিয়ে বিজ্ঞ আদালতকে পূর্ণ শুনানীর সুযোগ না দিয়ে আদেশ প্রদান সঠিক হয়নি বলে জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জবাবে আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামান বিরুপ আচরণ করেন। এ নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ফলে গত ১০ এপ্রিল থেকে ঝিনাইদহের আইনজীবীরা ঝিনাইদহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামানের বদলি না হওয়া পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এনিয়ে বিচার প্রার্থীদের মাঝে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড খান আক্তারুজ্জামান আদালত বর্জনের বিষয়টি নিশ্চত করে জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে।

এ বিষয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মহেশপুরের কাকিলাদাড়ি বট গাছের নিচে যানবাহন চেকিংকালে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে জসিমকে (৩০) ভারতীয় বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়।

সে সময় মোটরসাইকেলটির বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে থানার এসআই নাজমুল হক বাদী হয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার দেয়া হয় একই থানার অপর এসআই কাজী শামসুল আলমকে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।

মামলার তদন্তকারী এসআই কাজী শামসুল আলম জানান, আসামি পেশাদার চোরাকারবারী ও চোরাই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। জসিম দীর্ঘ দিন ধরে ভারত থেকে চোরা পথে মোটরসাইকেল আনে এবং নিজে ব্যবহার করে দেশের অন্য স্থানে বিক্রি করে থাকে। তার বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানায় একটি মামলাও রয়েছে।