ঝিনাইদহে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুঞ্জুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে সরকারদলীয় লোকজন তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। তাকেও বাধা দেয়া হয়েছে। ফলে সুরাট ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেএম রশিদুল আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট রির্টানিং অফিসার সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিচুর রহমান মনোনয়পত্র ছিনতাইয়ের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জামাদানের জন্য আসার পথে প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয়া হয়েছে মর্মে জানতে পেরেছেন তিনি। তবে কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা জানাতে অস্বীকার করেন এই কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, সদরের ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আগামী ৭ মে ৯টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে ৩৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সুরাট ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু বলেছেন, জেলা শহরের পশু হাসপাতাল সংলগ্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার (রির্টানিং অফিসার) কাছে দলীয় প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। গেট থেকে তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়। প্রার্থী ভয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারেনি বলে জানান, বিএনপির এই নেতা।

সদরের ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, কালীচরণপুর ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন আলম বিএনপি, কৃঞ্চপদ দত্ত আওয়ামী লীগ ও দলিল উদ্দীন আ.লীগের বিদ্রোহী। হরিশংকরপুর ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন বিএনপি, আব্দুল্লাহ আল মাসুম আওয়ামী লীগ ও খোন্দকার ফারুক  মাসুদ আ.লীগের বিদ্রোহী)। পদ্মকর ইউনিয়নে সৈয়দ নিজামুল গনি আওয়ামী লীগ, আব্দুর রশিদ বিএনপি, বিকাশ কুমার আ. লীগ বিদ্রোহী, আ ক ম শাহিনুর আলম স্বতন্ত্র, চন্দন কুমার সতন্ত্র ও আবু বক্কর জাসদ ইনু। দোগাছি ইউনিয়নে মো. রফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র, মো. ফয়েজউল্লাহ আ.লীগ বিদ্রোহী, ইসহাক আলী আওয়ামী লীগ, জাহিদুল ইসলাম বিএনপি ও আব্দুল মান্নান স্বতন্ত্র। ফুরসুন্ধি ইউনিয়নে অ্যাড. আব্দুল মালেক আওয়ামী লীগ, মো. আবু জাফর মোল্লা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আজিজুর রহমান বিএনপি, আবু সাইদ সিকদার স্বতন্ত্র ও শহিদুল ইসলাম সিকদার আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী। ঘোড়শাল ইউনিয়নে মো. জাহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, ইসহাক আলী জোয়ারদার বিএনপি, মো. আইয়ূব হোসেন স্বতন্ত্র ও মো. পারভেজ মাসুদ লিনটন আওয়ামী লীগ। পোড়াহাটি ইউনিয়নে গিয়াস উদ্দিন স্বতন্ত্র, রোকনুজ্জামান বিএনপি, রবিউল ইসলাম ইসলামী আন্দোলন ও মো. শহিদুল ইসলাম হিরোন আওয়ামী লীগ। সুরাট ইউনিয়নে জেএম রশিদুল আলম আওয়ামী লীগ। ভয়ে ইউনিয়নে আর কোনোপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। নলডাঙ্গা ইউনিয়নে মো. কবীর হোসেন আওয়ামী লীগ, জেসমিন আরা চুমকি স্বতন্ত্র, রবিউল ইসলাম রবি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, মো. জাহাঙ্গীর কবীর বিএনপি ও এনামুল ইসলাম ইসলামী আন্দোলন।