ঝিনাইদহে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় ১৬ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইবুন্যাল কর্তৃক গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর আমির মাও. মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। এ রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় সোমবার রাতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে পুলিশ ১৬ জামায়াত শিবির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাব হোসেন জানান, ঝিনাইদহ পুলিশের বিশেষ অভিযানে এসকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে হরিণাকুণ্ডু থেকে ৮জন, ঝিনাইদহ সদর থেকে ৫জন, কোটচাঁদপুর থেকে ২জন এবং কালীগঞ্জের ১ জন রয়েছে। হরিণাকুণ্ডু থেকে গ্রেফতাকৃতরা হলেন- পাবতীপুরের সাবেক কাউন্সিলর নাজের আলী, আজিজুর রহমান, শাজাহান আলী, ছানোয়ার হোসেন ও হাসান, গাজীপুরের এনায়েত উল্লাহ ও শহিদুল ইসলাম ও বাকচুয়ার খলিলুর রহমান। অভিযুক্তদের আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির মাও. দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইবুন্যাল মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত ৩মার্চ থেকে হরতালের ডাক দেয়। হরতালের ১ম দিন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ এলাকায় কয়েক হাজার হরতাল সমর্থক জড়ো হয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ হরতাল সমর্থকগণ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনরত সোনাতনপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল গাজী ওমর ফারুককে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে। এ নৃশংসতার জের ধরেই দলীয় প্রধানের রায়কে ঘিরে আবরো যাতে কোনো প্রকার নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্যই পুলিশের এ বিশেষ তৎপরতা বলে জানা গেছে।