ঝিনাইদহে তিন সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে যানবাহন ও পথচারীদের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশে ৩টি ঝুকিপূর্ণ সেতুর কারণে হাজার হাজার যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সাধারণ মানুষ এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সেতুতে বাঁশ বেধে দিয়েছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে ছোট বড় ৮টি সেতু। যার মধ্যে ৩টি আছে ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর রেলিং ভেঙে পড়ে আছে বছরের পর বছর। সেতুগুলো হচ্ছে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে ও শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারের দুই প্রান্তে দুইটি। তিনটি সেতুরই একপাশের রেলিং ভেঙে পড়ে আছে। ফলে যানবাহন রেলিং ঘেষেই চলাচল করছে। আরাপপুর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, বছর হলো একটি ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে যায় সেতুটির পশ্চিম পাশের রেলিং। সেতুর সাথে ঝুলে আছে ঢালাইগুলো। তিনি জানান, এভাবে ৫ থেকে ৬ মাস যাবার পর একদিন একটি ইঞ্জিন চালিতভ্যান পড়ে যায়। এতে দুইজন আহত হন। এই অবস্থা দেখে এলাকার লোকজন সেতুর ওই ভাঙা স্থানে বাঁশ বেধে দেন। কিছুদিন পরে সেই বাঁশও নষ্ট হয়ে যায়বর্তমানে তারা আবারো বাঁশ বেধে রেখেছেন বলে জানান। গাড়াগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ প্রান্তের সেতুটির পশ্চিম রেলিং ভেঙে কিছু অংশ পড়ে গেছে, আর কিছুটা হেলে আছে। ওই এলাকার বাসিন্দা উজ্জল কুমার জানান, রেলিং ভাঙা সেতুর ওপর যানবাহন এলে ভয়ে পাশ দিয়ে আরেকটি গাড়ি যেতে পারে না। তিনি জানান, এই রেলিং ভাঙার কারণে মাঝে মধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন গাড়ির চালক ও পথচারী। আর গাড়াগঞ্জ বাজারের উত্তরে মহেশপুর এলাকায় যে সেতুটি রয়েছে তারও পশ্চিমের রেলিং ভেঙে পড়ে আছে প্রায় ৩ বছর। ওই এলাকার বাসিন্দা মকলেচুর রহমান জানান, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেন না। ওই সড়কে চলাচলকারী ট্রাক চালক আব্দুস সবুর জানান, সেতুর রেলিং ভেঙে বছরের পর বছর পড়ে থাকার কারণে চালকদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। আমির হোসেন নামে এক সিএনজি চালক জানান, কর্তৃপক্ষ এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর রেলিং দ্রুত মেরামত করা হবে। ইতোমধ্যে মেরামতের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।