ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসকের অপসারণ ও উপজেলা নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ঝিনাইদহ অফিস: ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন বাতিল দাবি করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একই সাথে প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকসহ ৪ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেছে তারা। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের এইচএসএস সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ফিরে নেতাকর্মীরা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মো. ওয়াজেদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান, অ্যাড. লিয়াকত আলী, সালমা ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যন রবিউল ইসলাম রবি, খোন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ প্রমুখ।

সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, ইউএনও জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন আল ফারুক মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আলীমের পক্ষে কাজ করেছেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা সংখ্যালঘু ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে দেশ ত্যাগের হুমকি দিয়েছে। এ কারণে ভয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। ভোটের দিন দোগাছি ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজকে ইউপি কার্যালয় থেকে আটক করে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা হ্যান্ডমাইকে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটারদের নির্দেশ দেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সদর উপজেলা নির্বাচন বাতিল ও তদন্তপূর্বক দোষী ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। তা না হলে পরবর্তীতে আরো বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।