ঝিনাইদহে আ.লীগ নেতাদের হাতে ইউএনও লাঞ্ছিত

স্টাফ রিপোর্টার: ভ্রাম্যমাণ আদালতে বাল্যবিয়ে বন্ধ নিয়ে আ.লীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত হলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন আলী। গতকাল সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লাঞ্ছিত হন শৈলকুপার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসিল্যান্ড নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী রওশন ইসলাম। একই সময়ে এক সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, শৈলকুপার আনিপুর গ্রামের জামিরুল ইসলামের মেয়ে দশম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাসরিন নাহারের সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয় পার্শ্ববর্তী খন্দকবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের সাথে। গতকাল সোমবার বিয়ে হতে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রওশন আলীর নেতৃত্বে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিয়ে বন্ধ ও একই সাথে মেয়ের অভিভাবক দু চাচা মনিরুল ও আমিরুল ইসলামকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘেরাও করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম মোল্লা, তার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাবদার হোসেন মোল্লাসহ শতাধিক নেতাকর্মী ইউএনও’র সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ করতে বলেন।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক ওয়ালীউল্লাহকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মারপিট করেন। এর আগে সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিবার্হী কর্মকর্তার সাথে বাগবিতণ্ডা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে শৈলকুপার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম মোল্লা জানান, তারা বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়েছিলেন।

এদিকে শৈলকুপার এসিল্যান্ড ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক, নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাল্যবিয়ে বন্ধ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কার্যালয়ে চড়াও হয়েছিলো কিছু উশৃঙ্খল মানুষ। পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে।