ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর মাদরাসাটি দেড় যুগ চলার পরও বন্ধ হয়ে গেছে

 

বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর দারুল ইহসান দাখিল মাদরাসাটি ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল লতিফের লাগামহীন দুর্নীতি আর অবহেলার কারণে প্রায় দেড় যুগ সময় চলার পরও প্রতিষ্ঠানটি ব

জীবননগরে কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন করলেন যুগ্মসচিব খলিলুর রহমান

জীবননগর ব্যুরো: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন কিশোর-কিশোরী প্রকল্পের যুগ্মসচিব খলিলুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাস্তবায়নাধীন কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন করেছেন। তিনি এসব ক্লাব পরিদর্শন শেষে এর কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সকালে তিনি উপজেলা পরিষদে এসে পৌঁছুলে ইউএনও সাজেদুর রহমান তাকে স্বাগত জানান। এ সময় আরডিইও’র পক্ষ হতে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি হাসাদাহ, খয়েরহুদা ও বাঁকা মাঠপাড়ায় বাস্তবায়নাধীন কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন করেন।  তার সাথে ছিলেন ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়নকারী জাহাঙ্গীর আলম, আরডিইউওর নির্বাহী পরিচালক আরফান কবীর প্রমুখ।

ন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর দারুল ইহসান দাখিল মাদরাসাটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের সুপার চাকুরি নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর সুপারের পদটি শূন্য হয়। এ সুযোগে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল লতিফ পার্শ্ববর্তী গান্না ইউনিয়নের কালুহাটি দাখিল মাদরাসায় এবতেদায়ি প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করলেও অধিক সুবিধার আশায় এই প্রতিষ্ঠানে সহকারী সুপারের পদে চাকুরি নেন। পরে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালনে আগ্রহী হন। কিন্তু একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে সঠিক মতো সময় দিতে না পারা, একগুয়েমি ও অনিয়মতান্ত্রিক অফিস করা, শিক্ষকদের ডোনেশনের ও সরকারি অনুদানের টাকার হিসাব গরমিল করা, এ সকল কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে নিজের পক্ষের লোকজন নিয়ে পরিচালনা কমিটি গঠন করা সহকারী শিক্ষকদের সাথে অন্তঃকলহে জড়িয়ে পড়ায় নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের এ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো বন্ধ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেন। ফলে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটি চলার পরও বন্ধ হয়ে গেছে।

 

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল লতিফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা এবং সহকারী শিক্ষকগণ ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা এবং ক্লাস না নেয়ায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের এ প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।