জ্বালানি তেলের দাম শিগগিরই কমবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: শিগগিরই কমছে জ্বালানি তেলের দাম। এখন সরকারের অনুমতির অপেক্ষা মাত্র। এছাড়া দেশে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮টি কূপ খননের কাজও শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। সেভরন বিবিয়ানা প্লান্ট ছেড়ে গেলে তা সরকার নেবে কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সিলেট কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন শেষে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একথা বলেন। শুক্রবার দুদিনের সফরে সিলেটে আসেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। বিকেলে কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের দেশের একমাত্র তেল ও এলপিজি গ্যাসের কাঁচামাল এনজিএল উৎপাদনকারী এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শনে যান তিনি। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেও বলেছি দ্রুত জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। এখন শুধু সরকারের অনুমতির অপেক্ষা। এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো ও উৎপাদিত তেলের মান বাড়াতে কাজ করছে সরকার। দ্রুত ১০৮টি কূপ খননের কাজ শুরু হবে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে। টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ হলেই কূপ খননের কাজ শুরু হবে। এছাড়া সিলেট অঞ্চলে গ্যাসের সঙ্গে যে এনজিএল পাওয়া যায় তা থেকে উৎপাদিত হয় এলপিজি গ্যাস এবং পেট্রল। সেক্ষেত্রে পেট্রলের মান আরও কিভাবে বাড়ানো যায় তার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান নসরুল হামিদ। এছাড়া তিনি বলেন, কৈলাশটিলার ৭নং কূপে তেল পাওয়ার কথা থাকলেও তা যেহেতু পাওয়া যায়নি, সে বিষয়ে আবারও জরিপ চালিয়ে এ অঞ্চলে তেলের অস্তিত্ব আছে কিনা তা যাচাই করা হবে।
এদিকে সারা বিশ্বে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি সেভরনের চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সরকারের ভূমিকা কি থাকবে- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগ ছাড়া গ্যাস ফিল্ডের ৮০ শতাংশের মালিক সরকার। বাকি ২০ শতাংশ সেভরনের। এ ২০ শতাংশের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকার ব্যয় করে তাতে লাভবান হওয়া যাবে কিনা তার সম্ভাব্যতার যাচাই চলছে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির অধীনে থাকা ৪টি গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন ও সম্ভাবনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।