জেলেদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময়ী দিন। ওই দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিপদগামী একদল সেনা সদস্য। তাছাড়া সন্ত্রাসীরা ওই মাসের ১৭ তারিখে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময় বোমা বিস্ফোরণ করেছিলো। ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আ.লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো। তাই আগস্ট শোকের মাস হিসেবে আমরা পালন করি। কিন্তু সেই শোকটাকে শক্তিতে পরিণত করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে বলি স্মরণের মাস। আমরা তাদের স্মরণ করি।’ গতকাল শনিবার নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের আওতায় জেলেদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপরোক্ত মন্তব্য করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি।

তিনি আরও বলেন, ‘মাছে ভাতে বাঙালি। ওই মাছ যোগান দেন আপনারা। আপনাদের প্রচেষ্টায় দেশে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে। আপনাদের পরিশ্রমের সুফল হিসেবে কিছু প্রজাতির মাছ বাজারে খুব কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাই জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাঙালি জাতির কাছে আপনাদের অবদান ছোট করে দেখার নয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জাল যার, জল তার। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে চুয়াডাঙ্গায় যে খাল, বিল বা বাওড়গুলো আছে সেখানে জেলেরা সঠিকভাবে মাছ চাষ করতে পারেন না। বর্তমান সরকার জেলেদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা চিন্তা করে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদফতর।’

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শ্রীমন্ত টাউন হলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদফতর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, দেশের শান্তি নষ্ট করার জন্য এক শ্রেণির মানুষ নাশকতা করছে। তারা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে নাশকতামূলক কাজ করাচ্ছে। তৈরি করছে জঙ্গি। ইসলামের নামে যারা ওইসব কর্মকাণ্ড করছে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়। কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদ সমর্থন করেনা। তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে। নিজের সন্তান কখন কী করছে তা লক্ষ্যে রাখতে হবে।

সদর উপজেলা মৎস্য অধিদফতরের ক্ষেত্র সহকারী আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মৎস্য অধিদফতরের খামার ব্যবস্থাপক তালেবুল ইসলামসহ অসংখ্য মৎস্য উদ্যোক্তা ও জেলে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এবার মোট ৭৪৫ জেলের নিবন্ধন করা হয়েছে। তবে প্রথম ধাপে ৫১২ জেলেদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।