জেলহাজতে আটক আসামিকে বাইরে দেখিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন : ঝিনাইদহ সদর থানার এসআইকে কৈফিয়ত

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: জেলহাজতে থাকা আসামিকে বাইরে দেখিয়ে মামলার আসামি করায় ঝিনাইদহ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনিছুর রহমানকে (বিপি-৭৯০৬১২১২৬৬) কৈফিয়ত তলবের আদেশ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবাবুর রহমান এই আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড মজনুর রহমান জোয়ার্দ্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

অ্যাড মজনুর রহমান জোয়ার্দ্দার জানান, তার মক্কেল ঝিনাইদহ শহরের পাবহাটী গ্রামের মারকাজ মসজিদ পাড়ার লাল মোহাম্মদের ছেলে শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ৩ জানুয়ারি ২৭৩ নং মামলায় হাজিরা দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায় এবং তাকে ঝিআর-৩৪৯/১৬ নং মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখায়।

পুলিশের অভিযোগে উল্লেখ করা হয় গত ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ঝিনাইদহ আলহেরা স্কুলে জামায়াতের একটি গোপন সভায় নাশকতা সৃষ্টির জন্য গোপন বৈঠক করছিলেন। অ্যাড মজনুর রহমান জোয়ার্দ্দার তথ্য প্রমাণ উপস্থপন করে বিজ্ঞ আদালতকে জানান, পুলিশ যে ঘটনার সাথে তার মক্কেল শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানকে জড়িয়ে অভিযোগ দিয়েছে তখন তিনি ঝিআর ২৯১/১৬ নং মামলায় জেলহাজতে ছিলেন। জেল খানার রেকর্ড অনুযায়ী শাহ মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টম্বর থেকে একই বছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মহামান্য হাই কোর্টের ক্রিমিনাল মিস কেস ৩৯৫৪১/১৬ নং এর আদেশে জেল থেকে মুক্তি পান। আইনজীবীরা পুলিশের এহেন ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশিত করার নেপথ্যে নিছক হয়রানি ও রাজনৈতিক দমনপীড়নের কৌশল বলে মনে করছেন। তাদের ভাষ্য সত্যিকারের অপরাধীর শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার পরিবর্তে পুলিশের একটি হাস্যকর ও বিভ্রান্ত তথ্য আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আনিছুর রহমান জানান, আদালতের এ ধরণের কোনো আদেশ বা কৈফিয়ত তলবের চিঠি তিনি এখনো পাননি।