জীবননগর হরিপুরে পেয়ারা চোর সন্দেহে একজনকে কুপিয়ে জখম

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার হরিপুরে রাতের আধারে পেয়ারা চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে হরিপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিয়েছে। রক্তাক্ত জখম তরিকুল ইসলামকে পুলিশ চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে হরিপুর গ্রামের মাঠের একটি পেয়ারা বাগানে দুর্বৃত্তরা পেয়ারা চুরি করে। খবর পেয়ে চুরি প্রতিরোধে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। তারা তরিকুলকে পেয়ারাসহ আটক করে মারপিট করে ও কুপিয়ে জখম করে। এসময় গ্রামবাসী তাকে আটক করে গ্রামে নিয়ে যায়। রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে পল্লি চিকিৎসকের নিকট নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তরিকুলের পক্ষে বলা হয়েছে রাতে ধান ক্ষেতে সেচ দেয়ার জন্য সুবলপুর গ্রামের তরিকুল ও পলাশ হরিপুর মাঠে যায়। এসময় পলাশ খাওয়ার জন্য একটি পেয়ারা ছেঁড়ে। এসময় বাগান মালিকসহ গ্রামবাসী ছুটে এসে তাকে ক্ষেতে সেচ দেয়া অবস্থায় আটক করে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তরিকুল পেয়ারা চুরি করতে নয় ধানের জমিতে পানি দিচ্ছে এমন কথা বলা সত্বেও তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত তরিকুলের শরীর দিয়ে রক্ত ঝরায় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে পল্লি চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যান এবং তার হাতে ৮টি সেলাই দেয়া হয়। তরিকুলের আটকের বিষয় তার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে পৌর কাউন্সিলর আপিল মাহমুদকে সাথে নিয়ে হরিপুর গ্রামে গেলে আহত তরিকুলের অবস্থা খারাপ দেখে তারা তাকে না নিয়ে ফিরে আসে এবং পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত তরিকুল জানিয়েছেন, পেয়ারা চুরি করতে নয়, আমি ও পলাশ ধানের জমিতে পানি দিতে রাতে মাঠে গিয়েছিলাম। পলাশ ওই বাগান থেকে পেয়ারা পেড়ে খায়। এসময় বাগান মালিক বিদ্যুতসহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে চোর সন্দেহে ধরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এসময় পলাশ পালিয়ে যায়। আমাকে ধরে নিয়ে যায় গ্রামবাসী। এদিকে বিদ্যুতের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, পেয়ারা চুরি করছিলো এমন সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। আটককালে গ্রামবাসী ছুটে এসে তাকে মারধর করে আহত করে বলে তিনি স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হরিপুর গ্রামে পেয়ারা চুরির বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জীবননগর পৌরসভার ১নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আপিল মাহমুদ জানান, হরিপুর গ্রামে মিথ্যা পেয়ারা চুরির অপবাদ দিয়ে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান বলেন, হরিপুর গ্রামে পেয়ারা চুরিকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে এতে একজনকে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়েছে। সে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং আহত’র পরিবারের পক্ষ থেকে আওয়াল নামের একজন বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবি-০৩। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।