জীবননগর কালায় সালিসে হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা : পিতা-পুত্রকে মারপিট

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার কালা গ্রামে গরুতে ক্ষেতের ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে আয়োজিত গ্রাম্য সালিস জীবননগর থেকে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ গিয়ে ভণ্ডুল করে দেয়। এ সময় সালিসে উপস্থিত লোকজন সালিসসভা ভণ্ডুল করায় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসানকে মারপিট করে। শনিবার রাতে এ ঘটনার পর সালিসের মাতব্বর আবুল কাশেম ও তার ছেলে শহরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনকে মারপিট করা হয়েছে। জীবননগরে আসার পথে আবুল কাশেমকে ও হালখাতা চলাকালে দোকানে হামলা চালিয়ে জামালকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। রোববার বিকেলে মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। হামলাকারী সকলে ছাত্রলীগ ক্যাডার বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্কিত পিতা-পুত্র গত দুদিন ধরে তাদের দোকানপাট বন্ধ রখেছে। এ ঘটনায় জীবননগর বাজারের ব্যবসায়ী মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযেগে জানা যায়, কালা গ্রামের হায়দার আলীর ক্ষেতের ফসল খায় প্রতিবেশী সামুর গরু। গরুতে প্রায়ই ক্ষেত খেয়ে বিনষ্ট করায় শনিবার রাতে এ নিয়ে গ্রামটিতে সালিসসভার আয়োজন করা হয়। সালিসের শেষ মুহূর্তে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সালিসস্থলে উপস্থিত হন। এসময় গালিগালাজ করে সালিসসভা ভণ্ডুল করে দিলে সালিসে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসানকে মারপিট করে। রোববার সকালে সালিসের মাতব্বর আবুল কাশেম জীবননগর শহরে অবস্থিত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার পথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড়ে মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে তাকে মারপিট করে বলে অভিযোগ। আহত আবুল কাশেমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর আহত আবুল কাশেমের ছেলে জামাল উদ্দিনের গার্মেন্টসে সন্ধ্যায় মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে মারপিট করে। এ সময় দোকানটিতে হালখাতা অনুষ্ঠান চলছিলো। মারের ভয়ে দোকানি জামাল উদ্দিন হালখাতা ফেলে পাশের দোকানে আশ্রয় নিয়ে জীবন রক্ষা করে। এ ঘটনার পর গত দুদিন ধরে আহত পিতা-পুত্রের দুটি দোকানই বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান জানিয়েছেন তার ওপর অন্যায়ভাবে হামলা করা হয়েছে। কারা পিতা-পুত্রের ওপর হামলা করেছেন তা তিনি জানেন না বলে জানান।