জীবননগরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু : আবারও স্থগিতের প্রজ্ঞাপন

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসকক্ষে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২ দিনব্যাপী যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনে উপজেলার সীমান্ত ও বৃহত্তর উথলী ইউনিয়ন থেকে অনলাইনে আবেদনকৃত ১শ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। নিরোপেক্ষভাবে এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও আবারও এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম হোঁচটের মুখে পড়েছে। গতকালই এ যাচাই-বাছাই পক্রিয়া স্থগিতের প্রজ্ঞাপন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে সকাল থেকে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু করা হয়। প্রথম দিনে সীমান্ত ইউনিয়ন ও বৃহত্তর উথলী ইউনিয়ন থেকে আবেদনকৃত সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিন, জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি রহমতউল্লাহ, উপজেলা কমান্ডার সামসুল আলম ছাত্তার, ডেপুটি কমান্ডার বদরউদ্দিন, কমিটির সদস্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন, সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান, সুজা উদ্দিন ও আব্দুল মোত্তালেবসহ ভাতাভোগী ও কল্যাণ ট্রাস্ট ভোগী মুক্তিযোদ্ধাগণের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গতকাল এ দুটি ইউনিয়নের আবেদনকৃতদের মধ্যে উপস্থিত ১শ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। তবে আবেদনকারীদের মধ্যে গতকাল অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার জীবননগর পৌরসভা, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ও বৃহত্তর বাঁকা ইউনিয়ন থেকে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা, কিন্তু তার আগেই মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম আবারও স্থগিত করার প্রজ্ঞাপন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে। এর ফলে আজকের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে কি-না তা অবশ্য প্রশ্নের মধ্যে পড়েছে।

এদিকে গতকালের যাচাই-বাছাই নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, যেভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে তা দেখে নিরপেক্ষভাবেই করা হচ্ছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এ ভাবে যাচাই-বাছাই করলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তালিকা ভূক্ত হতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জীবননগর উপজেলা কমান্ডার সামসুল আলম ছাত্তার জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা খুবই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় কর্মরত থাকা কালে তার ১ হাজার ৩শ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার নের্তৃত্বে জীবননগর উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা উঠে আসবে বলে তিনি আশা করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা বলেন, উথলী ও সীমান্ত ইউনিয়ন হতে পড়া আবেদনের যাচাই সমপন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় গতকালই ওয়েব সাইটে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম আবারও স্থগিত করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে দেখতে পেয়েছি। তবে এখনও এ সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কোনো চিঠি পায়নি। তিনি আশা করছেন জীবননগর উপজেলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সমপন্ন হবে এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাতে ঠাঁই পাবে।