জীবননগরে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন

SAMSUNG CAMERA PICTURES

এ জেলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়

 

জীবননগর ব্যুরো: যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে বদলির আদেশপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনকে সুধী, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের বদলিজনিত কারণে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিদায়ী জেলা প্রশাসক যুগ্মসচিব মো. দেলোয়ার হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে অন্য জেলার তুলনায় আমরা সকলে অত্যন্ত ভালো আছি। এ জেলায় চাকরি করতে এসে এখানকার মানুষ সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এ জেলার মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী। যেখানকার মানুষ পরিশ্রমী হয় সেখানকার মানুষ খারপ হতে পারে না। সীমান্ত জেলার হওয়ার সুবাদে এ জেলায় চোরাচালান হয়। আমি ছাত্র অবস্থায় দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি পরিদর্শনে এসে দেখেছি লবণ-চিনির ব্লাক হতে। এখন ধরন পাল্টেছে। চোরাচালানীরা লাভের জিনিসপত্র আনা-নেয়া করে। মাদকদ্রব্যসহ ফেনসিডিল আসে। গরু আসে। বর্তমানে আসা বন্ধ হওয়ায় গরুর মাংসের দাম সাড়ে ৩শ টাকা এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এ জেলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। যার পরিপেক্ষিতে ২ বছর ৭ মাস এ জেলায় আমি সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধান অতিথি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের কথা আমি কোনো দিন ভুলবো না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রধান অতিথির এ জেলায় বর্ণময় কর্মজীবন নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি ও জীবননগর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সামসুল আলম ছাত্তার, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াৎ হোসেন, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মুন্সি মাহবুবুর রহমান বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও আলমগীর হোসেন। শেষে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের হাতে উপজেলাবাসীর পক্ষ উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হবে।