জীবননগরে এহসান এস রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের কর্মকর্তারা আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর এহসান এস রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামের একটি এলএমএল কোম্পানির কর্মকর্তারা সহস্রাধিক গ্রাহকের আমানতের আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দিয়েছে। এদিকে আমানতের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য গ্রাহকরা প্রতিদিন উপজেলা শহরের পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপোরিদে অবস্থিত এহসান এস রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের অফিসে ধরনা দিচ্ছেন।

জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে রমজান আলী প্লাজা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০১১ সালে উপজেলার রায়পুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন এহসান এস রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের নামে একটি এলএমএল কোম্পানির শাখা খোলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ও ইসলামী শরিয়াহ কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালনার কথা বলে জীবননগর অফিসের জন্য ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর প্রতি লাখে মাসিক দু হাজার টাকা হারে মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সহস্রাধিক আমানতকারী গ্রাহক সংগ্রহ করেন। আমানতকারীরা দু হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত করেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির সংগ্রহ দাঁড়ায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সম্প্রতি এলএমএল ব্যবসা নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হলে গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা অবিলম্বে ফেরত দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক মাস আগে অফিসে তালা লাগিয়ে সটকে পড়েন। সেই থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসের সামনে ভিড় করছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত লিয়াকত হোসেন বলেন, তিনি প্রায় দু বছর আগে প্রতি লাখে মাসিক দু হাজার টাকা মুনাফার আশ্বাসে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন (হিসাব নং-৩৭৯)। তিনি কয়েক মাস নিয়মিত মুনাফাও পেয়েছিলেন। কিন্তু বিগত ৮ মাস আগে থেকে কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখিয়ে মুনাফার টাকা প্রদানে গড়িমসি করতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে তিনি মূল টাকা ফেরত চান। কিন্তু এখন অফিস তালাবদ্ধ থাকায় টাকা ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। অপর ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী শহরের এনামুল হক (হিসাব নং-৩৫৯) অভিযোগ করেন, তিনি এ পর্যন্ত মুনাফা বা আসল টাকা কিছুই পাননি।