জীবননগরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ : জরিমানা

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: বাল্যবিয়ে মুক্ত জীবননগর উপজেলা ঘোষণা করার লক্ষ্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বাল্যবিয়ের সকল আযোজন ভণ্ডুল করে দিয়েছেন। গতপরশু শুক্রবার জীবননগগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে পুলিশ বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কনে ও তার পিতা-মাতাকে আটক করে বিয়ের সকল আয়োজন পণ্ড করে দেয়। বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে দুপুরে ভ্র্যামমাণ আদালত কনের পিতা-মাতাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও মেয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিলে ২ বছর কারাদণ্ডাদেশের নির্দেশ দেন। নগদ অর্থদণ্ড দিয়ে পিতা-মাতা অঙ্গীকার করে মেয়েসহ মুক্ত হন।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, শাহাপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। ভুয়া নিবন্ধনপত্র নিয়ে নাবালিকা মেয়েকে সাবালিকা দেখিয়ে গত শুক্রবার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার আমিরুল ইসলামের ছেলে নাসির গ্রুফ অব ইন্ডাস্ট্রিজের গাড়িচালক তুহিন হোসেনের সাথে বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। বর তুহিন নাসির গ্রুফ অব ইন্ডাস্ট্রিজের জিএম শামীম হোসেন, এজিএম শাহাজান আলী, মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল ইসলামসহ  বরযাত্রীর গাড়ি বহর নিয়ে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে দুপুরে দর্শনায় এসে পৌঁছান। বাল্যবিয়ে দেয়ার খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ শাহাপুর ক্যাম্প ইনর্চাজ এসআই ওলিয়ার রহমানকে বিয়ে বন্ধ করে কনে ও তার পিতামাতাকে আটক করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পেয়ে পুলিশ বিয়ের সকল আযোজন পণ্ড করে কনে ও তার পিতা মাতাকে বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে আটক করে। বেলা ২টার দিকে জীবননগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের পিতা সাইদুর রহমান ও তার স্ত্রীকে নাবালিকা মেয়েকে সাবালিকা দেখিয়ে বিয়ে দেয়ার অপরাধে দু হাজার টাকা জরিমানা ও পরবর্তীতে বযস পূর্ণ না হওযা পর্যন্ত বিয়ে দিলে দু বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। জনশ্রুতি উঠেছে, নাবালিকা মেয়েকে সাবালিকার জন্ম নিবন্ধনপত্র দিলেন কে? সূত্র জানিয়েছে, মেয়েকে কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের কামারকুণ্ডু গ্রামে মামাবাড়িতে নিয়ে ওই ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।