জীবননগরের সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দেদারছেপাচার হয়ে আসছে ভারতীয় মোটরসাইকেল

 

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর ও মেদিনীপুর সীমান্ত দিয়ে দেদারছে পাচার করে আনা হচ্ছে ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেল। এ দুটি রুট এখন পাচারকারীদের নিকট নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। সীমান্তের উভয় পারে থাকা সংঘবদ্ধ চোরাচালানীচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রাতের শেষভাগে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন চোরাইপথে এ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মোটরসাইকেল পাচার করে আনা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

সরেজমিন গয়েশপুর সীমান্তে গিয়ে জানা গেছে, ভারত এবং বাংলাদেশের উভয় পাশে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালানীচক্র। যারা পরস্পরের সাথে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশি বাংলালিংক ও ভারতের ভোডাফোন মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, ভারতীয় অংশের চোরাচালানীরা প্রথমে মোটরসাইকেলগুলো সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। তারপর মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশগুলো খুলে বস্তায় ভরে সময়-সুযোগ বুঝে কাঁটা তারের বেড়া পার করে এদেশীয় চোরাচালানীদের কাছে পাচার করে দেয়। পরবর্তীতে এ দেশের চোরাচালানীরা খোলা যন্ত্রাংশগুলো ভ্যানযোগে নিয়ে আসে উপজেলা শহরের শাপলাকলিপাড়ার নির্দিষ্ট কয়েকটি বাসায়। সেখানে যন্ত্রাংশগুলো পুনরায় সেট করে চোরাইপথে আনা মোটরসাইকেলগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করে থাকে। সূত্রমতে, জীবননগর শহরে অন্তত ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল পাচারের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। এরাই মূলত প্রতি রাতে মোটরসাইকেল ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা শহরের এক মোটরসাইকেল গ্যারেজের মিস্ত্রি জানান, জীবননগর উপজেলা শহরে চলাচলকরা হিরোহোন্ডা প্যাশন প্লাস,এফজেড ও পালসার মোটরসাইকেলের ৮০ ভাগই চোরাইপথে আনা ভারতীয় অবৈধ মোটরসাইকেল। এসব মোটরসাইকেলের বৈধ কোনো কাজগপত্র নেই। তবে মোটরসাইকেলগুলোর নম্বর প্লেটে লেখা থাকে অনটেস্ট, এএফআর অথবা কোনো মোটরসাইকেল শো-রুমের লেমিনেটিং করা স্টিকার। প্রশাসন এ ব্যাপারে অবগত হলেও মোটরসাইকেল চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না।