জীবননগরের দুজনকে গণধোলাই : সালিসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

কোটচাঁদপুর এলাকার এক কিশোরীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা

স্টাফ রিপোটার: মেহেরপুর পল্লি বিদুত সমিতির আন্দুলবাড়িয়া এলাকার ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুল আলিম ও তার সহযোগী আন্দুলবাড়িয়া বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সাইদুর রহমানকে গণধোলাই দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কোটচাঁদপুর এলাকার এক কিশোরীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ তুলে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে মোটরসাইকেলসহ আটক করে রাখে। সালিস সভায় কৃতকর্মের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে অবশেষে রাতে তারা বাড়ি ফেরেন। ঘটনাটি এলাকায় আলোচিত হয়ে ওঠায় মেহেরপুর পল্লি বিদুত সমিতি থেকে আব্দুল আলিমকে ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাইদুর রহমানকে অপসরণ করার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া কুলতলা হঠাতপাড়ার মৃত আনছার আলীর ছেলে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুল আলিম (৪২) মেহেরপুর পল্লি বিদুত সমিতির আন্দুলবাড়িয়া এলাকার ইলেকট্রিশিয়ান ও মিস্ত্রিপাড়ার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে বিবাহিতা সাইদুর রহমান (২৮) আন্দুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী। গত ৬ মাস আগে সাইদুর রহমান সহপাঠী আব্দুল আলিমকে চাচা পরিচয় দিয়ে নিজেকে শিক্ষক ও অবিবাহিত দাবি করে দু প্রতারক কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের কলেজ স্ট্যাডপাড়ার আব্দুর রশিদের মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মেঘলা খাতুনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেখাশোনা করে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে বিয়ে করার সূত্র ধরে ওই পাত্রীর পরিবারের সাথে প্রতারক সাইদুর ও আব্দুল আলিম সখ্যতা গড়ে তুলে অবাধ যাতাযাত শুরু করেন। প্রতারক সাইদুর রহমান বিয়ে করতে নানা টালবাহনা করতে থাকেন। স্থানীয় জনতার সন্দেহ দেখা দিলে দু প্রতারক সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন। খোঁজখবর নেয়াকালে তাদের সংসার ছেলে মেয়ে রয়েছে এ ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দু প্রতারক মোটরসাইকেলযোগে ওই বাড়িতে গেলে স্থানীয় জনতা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে উভয়কে গণধোলাই দিয়ে মোটরসাইকেলসহ আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে আন্দুলবাড়িয়া এলাকার কয়েকজন নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছুনোর পর সালিস সভা অনুষ্ঠিত হয়। সালিস সভায় অভিযুক্ত আব্দুল আলিম ও সাইদুর রহমানকে কৃতকর্মের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাতে জরিমানার টাকা দিয়ে তারা বাড়ি ফিরেছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ইতঃপূর্বে আব্দুল আলিম ও সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারী অভিযোগ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।