জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র ভিত্তিক রেজাল্ট শিট চেয়ে আবেদন : কর্তৃপক্ষের না

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটনের পক্ষে দুটি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলের রেজাল্ট শিট চেয়ে গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের পক্ষে রেজাল্ট শিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এটা প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রে এজেন্টেদের হাতে দিয়ে আসেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেয়ার কোনো বিধান নেই। রেজাল্ট সিট না পেয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের হারদা ও কর্চ্চাডাঙ্গা কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এ দিকে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের একজনসহ সীমান্ত ইউনিয়নের দু জন সদস্য প্রার্থী ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন।

আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মকলেছুর রহমান টজো গতকাল দুপুরে হারদা ও কর্চ্চাডাঙ্গা কেন্দ্রের ভোট গণনা শিট চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল অফিসে ছিলেন না। অভিযোগকারীদের পক্ষে এ সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই দুটি কেন্দ্রে রেজাল্ট শিট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটি প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গণনা শেষে পোলিং এজেন্টের হাতে দিয়ে আসেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেয়ার কোনো বিধান নেই। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের এ কথার প্রেক্ষিতে মীর মকলেছুর রহমান টজো তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়ায় ওই দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান।

অপরদিকে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী বিল্লাল হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোছাদ্দেক আলী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ও রেজাল্ট শিট চেয়ে এবং ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন।