জিকা ভাইরাস : বাংলাদেশ কি নিরাপদ?

স্টাফ রিপোর্টার: এখন জিকা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় হচ্ছে। এই রোগ সংক্রমণের প্রধান বাহক হচ্ছে এডিস মশা। জীবাণুবাহী এডিস মশা কোনো মানুষকে কামড়ালে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। আর সবচেয়ে উদ্বেগজনক যে তথ্যটি বের হয়েছে তা হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশুটি মাইক্রোএনকেফালি বা শিশু জন্মানোর সময় ছোট আকৃতির মাথা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেইন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হতে পারে। শুধু তাই নয়, জিকা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন বের হয়নি। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে চলতি বছরের মধ্যে অন্তত ৪ মিলিয়ন বা ৪০ লাখ আমেরিকান জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সংস্থাটি বলছে, জিকা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হবে কি-না তা আগামী সোমবার এক বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে একাধিক দেশ সেদেশের মহিলাদের আগামী ৩ বছর বা ২০১৮ সালের মধ্যে সন্তান ধারণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ এই মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ কি-না এমন একটি প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক স্বনামধন্য রোগ তত্ত্ববিদ অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমানের অভিমত হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত আমরা জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ, আমরা হাই রিস্ক গ্রুপে নেই। তবে আমরা লো রিস্ক গ্রুপ বা কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছি। যেহেতু যে ধরনের মশা দিয়ে জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয় সে ধরনের পর্যাপ্ত মশা বা ভেক্টর আমাদের রয়েছে। তাই সামান্য হলেও ঝুঁকি একেবারেই এড়িয়ে দেয়া যায় না। এই বিশেষজ্ঞের অভিমত হচ্ছে, আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে অন্তত ২/৩ বছর এ ভাইরাস ঠেকিয়ে রাখতে পারি। তাহলে এই সময়ের মধ্যে জিকা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের হয়ে যাবে। তখন আর ঝুঁকির কারণ থাকবে না। এই বিশেষজ্ঞের মতে, সব বয়সের লোকই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বড়দের সংক্রমণ ঘটলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।