জার্মানিতে নেয়ার কথা বলে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে পাচারের চেষ্টা

আলমডাঙ্গার জামসেদ ও তার স্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: জার্মানিতে সপরিবারে নেয়ার কথা বলে শুধু টাকাই হাতিয়ে নেয়া হয়নি, শ্রীলঙ্কায় নিয়ে নির্যাতনের পাশাপাশি পাচারের চেষ্টা করা হয়। প্রতারিত পরিবার শ্রীলঙ্কা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে কোনো রকম দেশে ফিরেছে।

দেশে ফিরে ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর এলাঙ্গীর মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ওয়ালিয়ার রহমান ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতারিত হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উপায় না পেয়ে তিনি আলমডাঙ্গা থানাপাড়ার জামসেদ আলী ও তার স্ত্রী স্বর্ণা বেগমসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন। মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্বর্ণা ও তার স্বামী জামসেদ জার্মান প্রবাসী। এদের ছাড়াও যাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, আলমডাঙ্গা থানাপাড়ার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল মজিদ, রাজশাহী আরএস বোয়ালিয়া আরএ রোড পদ্মার মফিজুল ইসলামের ছেলে এস আলম চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা জিনতলাপাড়ার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী স্বপ্না বেগম ও আলমডাঙ্গা মহেশপুরের আসাদুজ্জামান।

মামলার বাদী ওয়ালিয়ার রহমান বলেছেন, জার্মান প্রবাসী জামসেদ ও তার স্ত্রী আমার আত্মীয়র ভাগ্নিজামাই ও ভাগ্নি। এদের মাধ্যমে পরিচয় হয়। জার্মানে সপরিবারে নিয়ে ভালো চাকরি দিয়ে আবাসনের প্রতিশ্রতি দেয়। ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার পর আসামিরা যোগসাজশে শ্রীলঙ্কায় নেয়। সেখানে নেয়ার পর নির্যাতন শুরু করে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতে থাকে বাদীসহ তার সন্তান ও স্ত্রী। সেখানে আটকে রেখে কয়েক দফায় আরো টাকা আদায় করে অভিযুক্তরা। টাকা আদায়ের পর যখন বিক্রি করে পাচার করে দিচ্ছে দেখে কৌশলে শ্রীলঙ্কা পুলিশের সহযোগিতা নেন। সেখানে বসে দেশে যোগাযোগ করে কোনো রকম দেশে ফেরার পর টাকা ফেরত চাইতে গেলে আসামিরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

ওয়ালিয়ার রহমান বলেছেন, প্রতারিত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরেছি। ওদের প্ররোচনায় সর্বস্ব বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। দেশে ফিরে এখন পথে বসেছি।