জামায়াতের সহায়তায় মমতা ক্ষমতায় : বিজেপি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের তিন যুগের শাসনের অবসান ঘটিয়ে যে নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিলো, তার পেছনে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির হাত ছিলো বলে অভিযোগ করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দলটি বলছে, ২০১১ সালে ওই নির্বাচনের আগে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের সাথে জামায়াত-বিএনপির গোপন সমঝোতা হয়। জামায়াতের সাহায্য নিয়েই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ৭৫টি আসনের অধিকাংশে জয় পেয়েছিলো কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের রিপোর্ট দু পক্ষের এ সমঝোতার কথাই বলছে। ওই দেশের সংবাদপত্রেই এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই সমঝোতার জেরেই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সাথে ঢাকা সফর বাতিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তি আটকে দিয়েছিলেন কি-না- সে প্রশ্নও তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির এ নেতা। সিদ্ধার্থনাথের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে সহায়তার বিনিময়ে তৃণমূল জামায়াতকে আশ্বাস দিয়েছিলো যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তারা যথাসাধ্য করবে। বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালে জামায়াতের সহিংসতায় অর্থ যোগাতে মমতার তৃণমূলই সারদা গ্রুপকে উৎসাহ দিয়েছে বলেও বিজেপির অভিযোগ। সিদ্ধার্থনাথ বলছেন, গত সোমবার ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা- এনআইএর কার্যালয়ের সামনে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে তাতেই জঙ্গিদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়, যারা তৃণমূলের আমলেই পশ্চিমবঙ্গে শেকড় ছড়াতে শুরু করেছে।  এর জবাবে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির অভিযোগ কাল্পনিক। কোলকাতায় বসে সিদ্ধার্থনাথ হালে পানি পাননি। এখন চলে গিয়েছেন সীমান্তে।… জামায়াতের বন্ধু কারা বোঝা যাচ্ছে! যে সময়ের কথা সিদ্ধার্থনাথ বলেছেন, তখন তৃণমূল ক্ষমতায় ছিলো না বলেও মন্তব্য করেন পার্থ।