জাফরপুর-নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা

হুহুঠক ঠক আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক

কামরুজ্জামান বেল্টু: হুশ, হুশ, ঠক, ঠক, আওয়াজ চারপাশে। এভাবেই আওয়াজের তালে তালে চলতে থাকে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের জাফরপুর-নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে অনুষ্ঠিত খেলা ছিলো এক ভিন্ন আমেজ। দর্শক শ্রোতাদের আগমনে জাফরপুর-নূরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন এক যৌবন পেয়েছিলো। বাঙ্গালির ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা এখন আর সাধারণত চোখে দেখা যায় না। আগেকার দিনে আষাঢ় মাসে অবসর সময় কাঠানোর জন্য গ্রামে গ্রামে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা খেলতো তরুণরা আর মুরুব্বিরা গড় গড় করে হুক্কা টানত সেই সাথে খেলা উপভোগ করতো। এখন নেই সেই আগেকার দিনের সেই হুক্কা। হারিয়ে যেতে বসেছে সেই ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। এখন আর কেউ খেলে না লাঠি খেলা, দেখা যায় না মুরুব্বিদের হুক্কা খেতে। আগেকার দিনে কোথাও লাঠি খেলার আয়োজন হলে খেলা দেখতে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা, নারী-পুরুষ দলে দলে খেলা দেখতে ছুটতো। জাফরপুর-নূরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খেলা দেখতেও ছুটেছে ঠিক সেই ভাবে দলে দলে। খেলা দেখতে আসা মুরুব্বিদের মনে করিয়ে দিচ্ছিলো সেই হারানো দিনের কথা। খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত দলে দলে লোক আসতে থাকে। পূর্বের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে এলেও দলে দলে মানুষ আসা বন্ধ হয়নি। খেলা বন্ধ হতে হতে অন্ধাকারাচ্ছন্ন হয়ে আসে। হানুরবাড়াদি গ্রামের অচিরদ্দীনের দল ও শ্রীকোল বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের দল যে নিজ উদ্যোগে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা শুরু করেছে এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।