জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুল ৬ষ্ঠ ও বিশেষ বিভাগে দেশসেরা চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের শিলন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ৩৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলের জুনিয়র দল জাতীয় পর্যায়ে ৬ষ্ঠ স্থান ও বিশেষ বিভাগে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের শিলন বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে। গতকাল বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর চত্বরে অনুষ্ঠিত ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণায় প্রযুক্তি মেলায় ‘আধুনিক মাথাভাঙ্গা সেতু’ প্রজেক্ট প্রদর্শন করে সারা বাংলাদেশের মধ্যে জুনিয়র বিভাগে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে।

এ প্রজেক্টে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলের আশিকুজ্জামান (দলনায়ক), হাসানুজ্জামান ও শাহরিয়ার জামিল জিদান অংশগ্রহণ করে। বিশেষ অর্থাৎ উন্মুক্ত বিভাগে চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ের শিলন হোসেন ইঞ্জিনচালিত যেকোনো যানবাহনে অটো সিকিউরিটি লকের ব্যবহার দেখিয়ে দেশসেরার পুরস্কার লাভ করে। চুয়াডাঙ্গার জুনিয়র দল ও বিশেষ দলের গাইড শিক্ষক হিসেবে সাথে ছিলেন ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক আশিষ কুমার সাহা। বিশেষ টিমের শিলনের প্রজেক্টের মূল কাজ হলো- এ প্রযুক্তি (অটো সিকিউরিটি লক) ব্যবহার করলে যেকোনো ইঞ্জিনচালিত (বিশেষ করে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাক) যানবাহন থেকে গাড়ির মালিক ১০ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করলে গাড়ি অটো লক হয়ে যাবে। যা কোনোমতেই মালিক ছাড়া চালু করা যাবে না। এ প্রযুক্তির ব্যবহার, সহজবোধ্যতা দেখে বিচারকমণ্ডলী অভিভূত হন এবং সর্বসম্মতভাবে শিলনকে প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন। একই সাথে তাকে দেশসেরার পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী চৌধূরী কামাল ইবনে ইউসুপ, প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ।

উল্লেখ্য, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, সারাদেশের জুনিয়র (স্কুল পর্যায়), সিনিয়র (কলেজ পর্যায়) ও বিশেষ (উন্মুক্ত) পর্যায়ের তিনটি বিভাগের বিজ্ঞান বিষয়ক কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া ও গবেষণা কার্যক্রম আধুনিকায়নের জন্য ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের মজনুর রহমান ও লাইলি বেগমের মেজ ছেলে শিলন হোসেন এ প্রযুক্তির ব্যবহার দেখিয়ে বিচারকদের মন জয় করে শুধু প্রথম স্থানই অধিকার করেনি এখন অনেকেই তার প্রজেক্ট ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ২০০৯ সালে শিলন চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে অসচ্ছল পরিবারের হাল ধরার জন্য দৌলাতদিয়াড়েই গড়ে তোলে শিলন ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপ। এ ওয়ার্কসপ থেকেই শিলন অটো সিকিউরিটি লকের আবিষ্কার করে।